এবারের বাজেটে রাজ্যের রেল ভাগ্যে মূলত সমীক্ষা
এবারের বাজেটে রাজ্যের জন্য একমাত্র উল্লেখযোগ্য ঘোষণা সাগর থেকে ডানকুনি পর্যন্ত নতুন রেলপথের সমীক্ষা। এছাড়া নতুন আর কিছুই নেই। এমনকী রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত বিভিন্ন প্রকল্পে বরাদ্দ শূন্যের সামিল।
ওয়েব ডেস্ক: এবারের বাজেটে রাজ্যের জন্য একমাত্র উল্লেখযোগ্য ঘোষণা সাগর থেকে ডানকুনি পর্যন্ত নতুন রেলপথের সমীক্ষা। এছাড়া নতুন আর কিছুই নেই। এমনকী রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত বিভিন্ন প্রকল্পে বরাদ্দ শূন্যের সামিল।
এবারের বাজেটে রেল খাতে কী পেল রাজ্য? কোনও অবজেক্টিভ টাইপ উত্তর নেই। বাজেটে একমাত্র উল্লেখযোগ্য ঘোষণা সাগর থেকে ডানকুনি পর্যন্ত নতুন রেলপথের সমীক্ষা। প্রায় একশ আটত্রিশ কিলোমিটার সমীক্ষার প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে। প্রস্তাবিত পথ হল :সাগর-কাশিনগর-কুলপি-গুরুদাসনগর-বাকরাহাট-চকগোপালপুর-নুঙ্গি-মাঝেরহাট-খিদিরপুর-শালিমার-সাঁতরাগাছি-ডানকুনি।
আরও পড়ুন- পঞ্চায়েত ভোটের আগে 'কল্পতরু' মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
এছাড়াও কিছু প্রাপ্তি আছে। বাজেটে রাজ্যের প্রাপ্তি, কৃষ্ণনগরের কাছে জলঙ্গি সেতু নতুন করে নির্মাণ। সাঁতরাগাছি টার্মিনালের জন্য চুরাশি কোটি টাকা বরাদ্দ, শালিমার স্টেশন টার্মিনাল জন্য ৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ, সাঁকরাইলে ফ্রেট করিডরের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ, সাঁকরাইল পাঁশকুড়া ফোর্থ লাইন এবং বিভিন্ন স্টেশনে এল ই ডি লাইট।
অর্থাত্ নতুন কোনও প্রকল্প নেওয়া হয়নি, নতুন কোনও ট্রেনের ঘোষনাও নেই। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, সেই সময়ের ঘোষিত বিভিন্ন প্রকল্প গুলিকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। এই সব ঘোষিত প্রকল্প হল- খড়গপুরে প্রস্তাবিত ওয়াগান কারখানা, কাঁচরাপাড়ার প্রস্তাবিত ওয়াগান কারখানা, বজবজে প্রস্তাবিত কোচ যন্ত্রাংশ কারখানা।
সবকিছুর জন্যই বরাদ্দ নামমাত্র। অর্থাত্ রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে যে প্রকল্প ঘোষণা করেছিলেন সেগুলিতে নজর দেওয়াই হয়নি। রেলকর্তাদের দাবি, জমিজটে আটকে থাকা প্রকল্পগুলি একে একে বাস্তবায়িত করা হচ্ছে। অর্থাত্ বাংলার পক্ষে রেলখাতে, মেট্রো বাদে, উচ্ছ্বসিত হওয়ার মত কোনও খবরই নেই।