আর মাত্র ১৫ বছর অপেক্ষা করুন, থাকবেন মহাশূন্যের ভাসমান নগরে
একেকটি ভাসমান ফ্ল্যাটে ৫০ হাজার মানুষ থাকতে পারবেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আর ভাল লাগছে না এই দূষিত গ্রহে? অন্যত্র গিয়ে থাকতে পেলে বেশ হত বলে ভাবছেন? আকাশকুসুম কিছু নয়। আর কিছুদিন পরেই এই আশা পূর্ণ হবে আপনার। ফিনল্যান্ডের এক পদার্থবিদ জানাচ্ছেন, আর মাত্র ১৫ বছর পরেই এই সুযোগ পাবে মানবজাতি। অর্থাৎ, ২০৩৬ সাল নাগাদ মহাশূন্যে বসবাস শুরু করে দিতে পারবে মানুষ।
ফিনল্যান্ডের পদার্থবিদ পেকা জানহুনেন (Finnish space physicist Pekka Janhunen)বলেছেন, মানবজাতি আর মাত্র বছরপনেরোর মধ্যেই স্পেস মেগাসিটির (space megacity) বাসিন্দা হতে পারবে। অনেক বছর ধরেই মহাশূন্যে মানুষের বসবাসের প্রকল্প নিয়ে কাজ করে চলেছেন বিশ্বজোড়া বিজ্ঞানীরা। এ ক্ষেত্রে মূলত চাঁদ আর মঙ্গল গ্রহের নামই উঠে এসেছে। তবে নতুন জায়গার নাম তুলে চমকে দিয়েছেন পেকা। তিনি পৃথিবী থেকে ৩২৫ মিলিয়ন মাইল (325 million miles)দূরের 'সেরেস' (Ceres) নামের এক বামনগ্রহের (dwarf planet) কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি এই শহরের এক নকশাও (blueprint for floating mega-satellites) তৈরি করে ফেলেছেন।
Also Read: এভারেস্ট রক্ষায় আবর্জনা দিয়ে দূষণমুক্তির শিল্পকীর্তি
পেকা জানিয়েছেন, সেই শহরের একেকটি ভাসমান ফ্ল্যাটে ৫০ হাজার মানুষ থাকতে পারবেন। গোলাকার এই ফ্ল্যাটগুলি মাধ্যাকর্ষণের টান এড়িয়ে শূন্যে ভাসবে। চৌম্বকীয় ক্ষেত্র দ্বারা পরস্পরের সঙ্গে যোগ থাকবে বলে, এরা অন্যত্র ছিটকে যাবে না।
মঙ্গল আর চাঁদ বাদ দিয়ে 'সেরেস'কে কেন বেছে নেওয়া হল?
পেকা জানিয়েছেন, এই বামনগ্রহটির জলবায়ু নাইট্রোজেন-সমৃদ্ধ। পৃথিবীর অনুরূপ জলবায়ু পাওয়া যেতে পারে সেখানে।
Also Read: মরুভূমিতে তুষারপাত! সাহারায় শিহরন