চোখের সামনে ট্রেনের কামরায় চলছে কাঠ পাচার, দেখেও দেখছে না রেল প্রশাসন
সকলের চোখের সামনে ট্রেনের কামরায় চলছে কাঠ পাচার । দেখেও দেখছেনা রেল প্রশাসন । চুপ কোচবিহার, জালপাইগুড়ির পুলিস ও বন কর্তারা। ট্রেনে করে প্রতি দিন ডুয়ার্সের জঙ্গল থেকে চোরাই কাঠ আসছে কোচবিহারের বিভিন্ন জায়গায়।
ওয়েব ডেস্ক: সকলের চোখের সামনে ট্রেনের কামরায় চলছে কাঠ পাচার । দেখেও দেখছেনা রেল প্রশাসন । চুপ কোচবিহার, জালপাইগুড়ির পুলিস ও বন কর্তারা। ট্রেনে করে প্রতি দিন ডুয়ার্সের জঙ্গল থেকে চোরাই কাঠ আসছে কোচবিহারের বিভিন্ন জায়গায়।
সড়কপথে ধরপাকড় বেশি। কিন্তু ট্রেন? কোথাও কোনও বাধা নেই। অসাধু কাঠ পাচার কারবারীরা সড়ক পথের পরিবর্তে বেছে নিয়েছে রেলপথকে। ডুয়ার্স থেকে আলিপুরদুয়ার হয়ে যেসব ট্রেনগুলি দিনহাটা বা বামনহাট যায় সেগুলিতে রমরমিয়ে চলছে কাঠ পাচার। বিশাল নেটওয়ার্ক। চোরাকারবারের চোরা জালে কে আছে আর কে নেই বোঝা দায়।
পাচার চক্রের নেটওয়ার্কের ডিসিপ্লিন অন্যরকম। কোথায় ট্রেন আস্তে হবে, কোথায় ট্রেন লাইনের ধারে গাড়ি দাড়িয়ে থাকবে। সব আগে থেকে নির্ধারিত। একেবারে নিখুঁত। ট্রেন থেকে কাঠ পড়তে না পড়তেই গাড়িতে কাঠ উঠে যাচ্ছে। কোথা দেখা মিলবেনা রেল পুলিসের।
যেখানে যেমন অর্ডার। ট্রেনে করে চলে আসছে কাঠ। চেরাই করা অথবা কাঠের গুড়ি ডুয়ার্সের জঙ্গল ও লাগোয়া এলাকা থেকে অনায়াসে পৌছে দিচ্ছে চোরা কারবারীরা। সবাই দেখছে, সবার চোখের সামনে হচ্ছে। অথচ রেল পুলিস ও স্থানীয় পুলিস আধিকারিকরা নাকি কিছুই জানেন না। দিনহাটা স্টেশনেও কাঠ নামছে। অথচ স্টেশন মাস্টারের কাছে কোনও খবর নেই।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সাধারণ মানুষতো দেখছেন কাঠ পাচার হচ্ছে রোজ। আর আধিকারিকদের অনেকেই জানেন কে বা কারা পাচার করছেন। কিন্তু সব দেখেও তাদের যেন চোখ বন্ধ।