স্বামী-সন্তানের হাতে আক্রান্ত প্রৌঢ়া
জানা গিয়েছে, বছর পঞ্চান্নর রেণুকা নস্করকে নানা কারণে সন্দেহ করেন তাঁর স্বামী শঙ্কর নস্কর।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কেবল সন্দেহ! আর তার জেরেই স্বামী, ছেলের হাতে বেধড়ক মার খেতে হল এক প্রৌঢ়াকে। ঘটনাটি ঘটেছে জয়নগরের কাটামারি গ্রামে।
আরও পড়ুন: শাড়ির আঁচল দেখতে পেয়েছিলেন গ্রামবাসীরা, এগোতেই যে দৃশ্য চোখে পড়ল
জানা গিয়েছে, বছর পঞ্চান্নর রেণুকা নস্করকে নানা কারণে সন্দেহ করেন তাঁর স্বামী শঙ্কর নস্কর। এই নিয়ে দুজনের মধ্যে মাঝেমধ্যেই অশান্তি হত। শঙ্কর তাঁকে মারধর করত বলে অভিযোগ। সেকথা আগে থেকেই জানতেন রেণুকার প্রতিবেশীরা। রবিবার সন্ধ্যাতেও তাঁদের পরিবারে চিত্কার চেঁচামেচি শুনতে পান প্রতিবেশীরা।
আরও পড়ুন: অনীক থেকে অ্যানি হয়ে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন পুরনো বন্ধু সাগ্নিকের সঙ্গে! তারপর...
রোজকার ঘটনা ভেবে প্রথমটায় বিশেষ আমল দেননি তাঁরা। রেণুকার আর্তনাদ শুনে পরে তাঁদের বাড়িতে ছুটে যান স্থানীয়রা। দেখা যায়, শঙ্কর ও তাঁর ছেলে দুজনেই রেণুকাকে মারধর করছেন। প্রৌঢ়াকে উদ্ধার করে প্রথমে জয়নগর থানায় যান তাঁরা। সেখানে স্বামী ও ছেলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন রেণুকা। পরে তাঁকে পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শরীরের একাধিক জায়গায় চোট লেগেছে তাঁর। সেখানেই রেণুকার চিকিত্সা চলে। কিন্তু সোমবার সকালে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে বারুইপুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। রেণুকার অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার সকালে কাঁটাপুকুরিয়া থেকে ছেলে সুজিতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে রেণকুার স্বামী শঙ্কর ঘটনার পর থেকেই পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে।