রেকর্ড ভোটে জয়ী, পঞ্চায়েত নির্বাচনে সবথেকে বেশি ভোট পেয়েছেন তিনি-ই!
সবথেকে বেশি ভোটে জিতে সামসুল আলম জানান, 'এতটা আশা করিনি। তবে বেশি ভোট পাব জানতাম। আগামীদিনে দল যা নির্দেশ দেবে সেইমতো কাজ করব। সবার কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেব। মানুষের পাশে থাকব।'
দেবব্রত ঘোষ: হাওড়া জেলা পরিষদের ৬ নম্বর আসনে বিপুল ভোটে জয়ী সামসুল আলম তরফদার। ৬৭,৮০২ ভোটে তিনি জয়লাভ করেছেন। রাজ্যের মধ্যে সবথেকে বেশি, রেকর্ড সংখ্যক ভোট পেয়ে সামসুল আলম তরফদার জয়লাভ করেছেন বলে জানিয়েছেন হাওড়া সদরের তৃণমূল সভাপতি কল্যাণ ঘোষ।
২০২৩-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে হাওড়া জেলায় আশানুরূপ ভালো ফল করেছে শাসকদল। জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রায় সব কটি আসন দখল করেছে ঘাসফুল শিবির। এখন জেলা পরিষদের ৬ নম্বর আসনে তৃণমূল প্রার্থী ছিলেন সামসুল আলম তরফদার। ফল বেরতেই দেখা গেল, রেকর্ড ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন তিনি। ৬৭,৮০২ ভোট পেয়েছেন তিনি। যা রাজ্যের মধ্যে সবথেকে বেশি ভোট বলে দাবি করেছেন সভাপতি কল্যাণ ঘোষ।
তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনমুখী প্রকল্প ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার সাফল্য এনেছে। অন্যদিকে, সবথেকে বেশি ভোটে জিতে সামসুল আলম জানান, 'এতটা আশা করিনি। তবে বেশি ভোট পাব জানতাম। আগামীদিনে দল যা নির্দেশ দেবে সেইমতো কাজ করব। সবার কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেব। মানুষের পাশে থাকব।'
তবে হাওড়া জেলা পরিষদের অন্যতম চ্যালেঞ্জিং লড়াই ছিল ৪১ নম্বর আসনটি। ওই আসনে তৃণমূল প্রার্থী তুষারকান্তি ঘোষের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন এসএফআই-এর সর্বভারতীয় নেত্রী দীপ্সিতা ধরের মা দীপিকা ধর। ওই আসনে তুষারকান্তি ঘোষ ৯,৩১৫ ভোটে বাম প্রার্থীকে হারান। জয়ী প্রার্থী বলেন, সিপিআইএম বিগত দিনে কোনও উন্নয়ন করেনি। তাছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে যিনি প্রার্থী ছিলেন, তিনি এর আগেও পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২ বার হেরেছন। তাই তাঁর জয় নিশ্চিত ছিল।
যদিও তৃণমূলের এই সামগ্রিক জয়লাভকে কটাক্ষ করেছেন সিপিআইএম জেলা সম্পাদক দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, মনোনয়ন থেকে ভোট গণনা, নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে শাসকদল। ভোটে দুর্নীতি হয়েছে। এই অভিযোগ যদিও অস্বীকার করেছেন হাওড়া সদরের তৃণমূল সভাপতি কল্যাণ ঘোষ। তিনি পালটা দাবি করেন, মিথ্যা প্রচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে বিরোধীরা।