একশো দিনের কাজে আবারও দেশের সেরা পশ্চিমবঙ্গ, পরপর ৪বার জাতীয় পুরস্কার
এবার সব হিসাব ছাপিয়ে তা পৌঁছে গিয়েছে প্রায় ৩৬ কোটির দোরগোড়ায়। যা সারা দেশের নিরিখে সর্বকালীন রেকর্ড।
নিজস্ব প্রতিবেদন: একশো দিনের কাজে আবারও দেশের মধ্যে এক নম্বরে পশ্চিমবঙ্গ। এই নিয়ে পরপর ৪ বার জাতীয় পুরস্কার পেল বাংলা। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে রাজ্যে মোট ৩৫ কোটি ৬৯ লক্ষ কর্মদিবস সৃষ্টি হয়েছে। যা সারা দেশের নিরিখে রেকর্ড। এর ফলে প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এর আগের বছরগুলোতে এই কর্মদিবসের সংখ্যা ছিল প্রায় ২২ কোটি, ২৮ কোটি, ৩২ কোটি।
আরও পড়ুন: বিনয় মিশ্রকে নিজের বাড়িতেই লুকিয়ে রেখেছেন অভিষেক ব্যানার্জি : Arjun Singh
এবার সব হিসাব ছাপিয়ে তা পৌঁছে গিয়েছে প্রায় ৩৬ কোটির দোরগোড়ায়। যা সারা দেশের নিরিখে সর্বকালীন রেকর্ড। বিশেষ করে এই আর্থিক বছরের প্রায় অর্ধেকটাই কোভিডের ফলে লকডাউনের কারণে কাজ বন্ধ ছিল। তা সত্ত্বেও আনলক পর্ব শুরু হওয়া বা আমপান পরবর্তী সময়ের কাজ, রাজ্যকে ১০০ দিনের প্রকল্পে সবচেয়ে প্রথমে রেখেছে।
আরও পড়ুন: করোনাকালেও ধারাবাহিক পরিষেবা, রাজ্য় সরকারের প্রশংসা UNICEF ও বিশ্বব্যাঙ্কের
বুধবার ‘দুয়ারে সরকার’ ও ‘পাড়ায় সমাধান’ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আন্তর্জাতিক মঞ্চে সাফল্য জানাতে প্রকল্পের সুবিধা নবান্ন থেকে গ্রাহকদের হাতে তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রকল্প নিয়ে রাজ্য সরকারের প্রশংসায় ইউনিসেফ এবং ইউএনডিপি।
আরও পড়ুন: 'সন্ত্রাস করলে গ্রামছাড়া করব', মঙ্গলকোটে TMC কর্মী খুনে BJP-কে হুঁশিয়ারি Anubrata-র
এদিন অনুষ্ঠানে ‘দুয়ারে সরকার', ‘পাড়ায় সমাধান' নামে ২টি বই প্রকাশ করেন মমতা। পাশাপাশি ‘চোখের আলো' প্রকল্প রাজ্যের সব ব্লকে ৫০ হাজারের বেশি চশমা বিতরণ কর্মসূচির ঘোষণা করেছেন তিনি। প্রকল্পের সাফল্য বিশ্বের দরবারে পৌঁছতে চান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, রাজ্যের ১০ কোটি মানুষই স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় এলে খুশি রাজ্য। খাদ্যসাথীর পক্ষেও জোর সওয়াল করেন।
সাফল্য উল্লেখ করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিনামূল্যে রেশনে ৫ কেজি চাল, পরিবারের সদস্যপিছু ৫ কেজি চাল, কন্যাশ্রী প্রকল্পে সবাই অন্তর্ভুক্ত, রূপশ্রীর সুবিধা, সবুজ সাথী প্রকল্পে ১ কোটির বেশি সাইকেল, ১০০ দিনের কাজে সেরা পশ্চিমবঙ্গ সে কথাও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।