মোবাইল ভাঙলেন মা, ক্ষোভে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী দশম শ্রেণির ছাত্রী!
ছাত্রীর এই মৃত্যুর আকস্মিকতায় স্তব্ধ গোটা এলাকা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অভিমানে যে মেয়ে জীবন শেষের সিদ্ধান্ত নিতে পারে, এমনটা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবেনি হাওড়ার দশম শ্রেণির ছাত্রীর পরিবার। মোবাইলই যেন শেষ করল জীবন। ছাত্রীর এই মৃত্যুর আকস্মিকতায় স্তব্ধ গোটা এলাকা।
ঠিক কী ঘটেছে?
হাড়োয়া ব্লকের গোপালপুর পুকুড়িয়া এলাকায় দশম শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় শোকস্তব্ধ পরিবার পরিজনেরা। পুলিস জানায়, মোবাইল ফোন না পেয়ে অভিমানে গলায় শাড়ির ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা দশম শ্রেণীর ছাত্রীর। মৃত ছাত্রীর নাম রাজশ্রী বিশ্বাস (১৫)।
পরিবার সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই মায়ের সঙ্গে মোবাইল নিয়ে ঝামেলা চলছিল ছাত্রীটির। লকডাউনে বন্ধ হয়েছে স্কুল। কিন্তু মেয়ে সারাদিন মোবাইল হাতে অনলাইনে থাকায় তার প্রতিবাদ করেছিলেন রাজশ্রীর মা। এরপরই মায়ের সঙ্গে মনোমানিল্যর সূত্রপাত।
আরও পড়ুন, অগ্নিমূল্য বাজার, সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে EB-র অভিযান
পুলিস জানায়, এর আগে মোবাইল নিয়ে ঝামেলায় রাজশ্রী মামার বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু সোমবার অশান্তি ওঠে চরমে। ঝামেলার জেরে মেয়ের মোবাইল ভেঙে ফেলেন মা। এরপরই চুপ হন রাজশ্রী। কিন্তু মনের মধ্যে জমাতে থাকেন একরাশ অভিমান।
এরপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন দশম শ্রেণির এই ছাত্রী। ঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় শাড়ির ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। সোমবার সন্ধ্যের সময় হাড়োয়া থানার পুলিস গিয়ে ছাত্রীকে উদ্ধার করে হাড়োয়া গ্ৰামীণ হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানে চিকিৎসকরা ছাত্রীটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার সবদিক বিচার করতে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হবে ছাত্রীর দেহ। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।