WB Flood Situation: জলের নীচে বাড়িঘর, আকাল পানীয় জলের! ভয়াবহ জেলার বন্যা পরিস্থিতি
ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার পর রাজ্যে বন্য়া পরিস্থিতি জটিল হয়েছে আরও।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মঙ্গলবার সকাল থেকেই মুখভার আকাশের। ফের নিম্মচাপের ভ্রুকুটি রাজ্যে। অন্যদিকে, জেলায় বিভিন্ন বাঁধ থেকে জল ছাড়ায় অবস্থা জটিল। ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার পর রাজ্যে বন্য়া পরিস্থিতি জটিল হয়েছে আরও। হাওড়া, হুগলি ও পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো জেলাগুলিতে বন্যা পরিস্থিতি। এদিন সকালে দুর্গত এলাকা সড়কপথে ঘুরে দেখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পায়ে হেঁটে দেখছেন বন্যা বিধ্বস্ত এলাকা।
খানাকুল, আমতা, উদয়নারায়ণপুরের বন্যা পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। বহু গ্রাম প্লাবিত। আমতায় রামপুর খাল ভেঙে জল যন্ত্রণায় গ্রামের পর গ্রাম। স্কুল বাড়িও ডুবে গিয়েছে। রাস্তার উপর এসে উঠেছেন গ্রামের মানুষ। বিপদসীমা ছাড়িয়ে বইছে শিলাবতী নদী।
গোঘাট, খানাকুলের ১ ও ২ নম্বর ব্লকের অবস্থাও ভাল নয়। তবে বন্যা পরস্থিতি আরামবাগ সাব ডিভিশনে তুলনায় ভাল। চারিদিকে জল থইথই। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও এখনও চরম ভোগান্তিতে বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন, PM Kisan Samman Nidhi Scheme:ফের কৃষক সম্মান নিধি সংঘাত, না মঞ্জুর ৯.৫ লক্ষ আবেদন
কয়েকদিনের ভারি বর্ষণে জলমগ্ন কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলা। জলের নীচে একাধিক জমি-বাড়ি। গত দুদিন ধরে জলের তলায় ঘাটাল-চন্দ্রকোনা রাজ্য সড়ক। অধিকাংশ জায়গায় পানীয় জলের সঙ্কট চরমে। মঙ্গলবার ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি ঘুরে দেখেন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ঘাটালের নদীগুলির জলস্তর আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে,বর্তমানে বিপদসীমার নিচেই রয়েছে নদীগুলির জলস্তর।
সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের অভিযোগ, 'ডিভিসি জলছাড়ার পরিমাণ কমাচ্ছে না। রাজনীতির জন্য বাংলায় ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে'। এদিন আমতা পরিদর্শনে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেন, ''ম্যান মেড ফ্লাড।''