WB Panchayat Election 2023: ভোট কিনতে টাকা ঢোকাচ্ছে বিজেপি, ঝান্ডা হাতে রাত পাহারায় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা
WB Panchayat Election 2023: ঘড়ির কাঁটায় রাত ১২টা। মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন কঙ্কাবতী গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপগড় এলাকায় মেদিনীপুর-ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়কের উপর রীতিমতো পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছে জনা কুড়ি তৃণমূল কর্মী। একেবারে পুলিসের কায়দায় রাজ্য সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী গাড়িদের আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে তারা। কোথায় যাবে? কার কাছে যাবে? গাড়িতে কি আছে? পুলিসি কায়দায় তৃণমূল কর্মীরা জেরা করছে গাড়ির চালকদের। এনারাই হচ্ছেন তৃণমূল নেতৃত্বের ঘোষিত 'পাহারাদার'।
![WB Panchayat Election 2023: ভোট কিনতে টাকা ঢোকাচ্ছে বিজেপি, ঝান্ডা হাতে রাত পাহারায় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা WB Panchayat Election 2023: ভোট কিনতে টাকা ঢোকাচ্ছে বিজেপি, ঝান্ডা হাতে রাত পাহারায় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2023/07/03/428007-midnapore.png)
চম্পক দত্ত: মধ্যরাতে শক্ত লাঠি দিয়ে বাঁধা ঝান্ডা হাতে পুলিসের ভূমিকায় তৃণমূল কর্মীরা। ‘পাহারাদার’ হয়ে রীতিমতো পুলিসের কায়দায় নাকা চেকিং করছে তৃণমূল প্রার্থী সহ তৃণমূলী বাহিনী। এলাকায় সন্ত্রাস তৈরির জন্য এমন পদক্ষেপ, দাবি বিজেপির। বিজেপির ‘আমদানি’ আটকাতেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ‘পাড়ায় পাড়ায় পাহারাদার’ বসানোর সিদ্ধান্ত, এমনটাই দাবি তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতির।
ঘড়ির কাঁটায় রাত ১২টা। মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন কঙ্কাবতী গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপগড় এলাকায় মেদিনীপুর-ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়কের উপর রীতিমতো পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছে জনা কুড়ি তৃণমূল কর্মী। একেবারে পুলিসের কায়দায় রাজ্য সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী গাড়িদের আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে তারা। কোথায় যাবে? কার কাছে যাবে? গাড়িতে কি আছে? পুলিসি কায়দায় তৃণমূল কর্মীরা জেরা করছে গাড়ির চালকদের। এনারাই হচ্ছেন তৃণমূল নেতৃত্বের ঘোষিত 'পাহারাদার'।
আরও পড়ুন: WB Panchayat Election 2023: রাতভর নিখোঁজ, ফের উদ্ধার বিজেপি কর্মীর দেহ, ব্যাপক চাঞ্চল্য পুরুলিয়ায়!
দলের নেতৃত্বে রয়েছেন পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থী সুখেন্দু বিকাশ জানা। তাদের দাবি, খবর মিলেছে এলাকায় ভোট কিনতে টাকা ঢোকাচ্ছে বিজেপি। বোমা ও অস্ত্র নিয়ে এসেও এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হতে পারে। তাই পুলিসের উপর ভরসা না করে বিজেপির টাকা আটকাতে তারা নেমেছে রাস্তায়। রাত দশটা থেকে ভোর তিনটে পর্যন্ত নির্বাচন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এভাবেই পাহারাদারির কাজ করে যাবেন তারা।
ইতিমধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এসে পৌঁছেছে প্রায় ছয় কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। সাধারণ ভোটারদের কনফিডেন্স ফেরাতে বিভিন্ন এলাকায় এরিয়া ডমিনেশন করছে তারা। তবে এই কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরেও ভরসা নেই শাসকদলের। অন্যদিকে রাজ্য পুলিস এগুলো নিয়ে সবসময় নজর দিতে পারে না, তাই পুলিসের কাজ নিজেদের ঘাড়ে তুলে নিয়েছে তৃণমূল কর্মীরা, দাবি শাসকদলের পঞ্চায়েত প্রার্থী সুখেন্দু বিকাশ জানার।
এই বিষয় নিয়ে জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতির দাবি, ‘পাড়ায় পাড়ায় পাহারাদার বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জেলা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফেই’। বিজেপি টাকা ঢোকাতে পারে এলাকায়, সোর্স মারফত এমন ইনফরমেশন পাওয়ার পরেই নাকি তড়িঘড়ি জেলার বিভিন্ন গ্রামে রাত পাহারায় 'পাহারাদার' বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে , জানিয়েছেন অজিত মাইতি।
আরও পড়ুন: Bengal Weather Today: উত্তরে টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস, দক্ষিণে বাড়বে তাপমাত্রা
স্বাভাবিকভাবেই শাসক দলকে কড়া নিশানা করেছে বিজেপি। জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি অরূপ দাসের দাবি, পাহারাদারির নামে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য গ্রামে গ্রামে যুবকদের রাস্তায় নামিয়েছে শাসক দল তৃণমূল। নির্বাচন কমিশনের কাছে গোটা বিষয় লিখিত আকারে জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন জেলা বিজেপির এই হেভিওয়েট নেতা।
এমন ছবি প্রকাশ্যে আসার পর রীতিমত প্রশ্ন উঠতে শুরু করছে, শাসক দল তৃণমূল কি তাহলে ভরসা হারাচ্ছে পুলিসের উপর থেকেও? শাসক দল এর ব্যাখ্যা কীভাবে দেয় সেটাই এখন দেখার।