WB assembly election 2021: 'দিদির কাছ থেকে কিছু নেব না', Mamata-র সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রত্যাখান আনন্দ বর্মনের পরিবারের
'মুখ্যমন্ত্রী এখন কী দিতে আসছেন!', প্রশ্ন মৃতের দাদার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: '২-৩ জন ফোন করেছে, না করে দিয়েছি'। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রত্যাখান করলেন শীতলকুচিতে নিহত আনন্দ বর্মনের পরিবারের লোকেরা। মৃতের দাদা বললেন, 'আমি বিজেপি পার্টি করি। বিজেপি পার্টি করার জন্যই আমার ভাই মারা গেল। মুখ্যমন্ত্রী এখন কী দিতে আসছেন'!
চতুর্থ দফায় ভোটে রক্ত ঝরল কোচবিহারের শীতলকুচিতে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারালেন ৪ জন। এই ঘটনার দায় কার? তৃণমূল-বিজেপির তরজা যখন তুঙ্গে, তখন প্রচারের আলোর বাইরে রয়ে গিয়েছেন আনন্দ বর্মন। অথচ সেদিন ভোট দিতে তিনিই প্রথম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ভোট মিটলে শীতলকুচিতে যাবেন, বুধবার মাথাভাঙা হাসপাতালে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে নিহতদের পরিবারের লোকেদের সঙ্গে দেখার করার কথা মমতার।
আরও পড়ুন: WB Asembly Election 2021: শীতলকুচি সফর আপাতত বাতিল, বুধবার মাথাভাঙা হাসপাতালে Mamata
এদিন বিজেপি-র কোচবিহারে বিজেপির জেলা পার্টি অফিসে বসে আনন্দের বাবা জগদীশ বর্মন স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, 'আমরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চাই না'। তাঁর কথায়, '২-৩ জন ফোন করেছে, আমি না করে দিয়েছি। ২-৩ বলছে টাকার কথা, আমি টাকা নেব না। দিদির কাছ থেকে কিছু নেব না। তৃণমূল সরকারের কিছু নেব না'। কেন? নিহতের বাবার অভিযোগ, 'আমার বড় ছেলেকে বেশ কয়েকবার হুমকি দিয়েছে। এমনকী, বাড়ি এসেও হুমকি দিয়ে গিয়েছে, ভোট দিতে গেলে তোমার জীবন নেওয়া হবে। বড় ছেলেকে না পেয়ে আমার ছোট ছেলে-কে মেরে দিয়েছে'।
ভোটের দিন ঠিক কী ঘটেছিল? আনন্দ বর্মনের দাদা গোবিন্দ জানালেন, 'ভাইকে নিয়ে আসার পথে বোমা মারে। আমি পড়ে যাই, তারপর বাঁশ দিয়ে মারে। কোনওমতে ভাইকে তুলে নিয়ে গিয়ে পাশেই কাকুর বাড়িতে দিতে আসি'। তাঁর সাফ কথা, 'মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কেন দেখা করব? তাঁর সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। আমি বিজেপি পার্টি করি। বিজেপি পার্টি করার জন্যই আমার ভাই মারা গেল। মুখ্যমন্ত্রী এখন কী দিতে আসছেন'।
আরও পড়ুন: WB Assembly Election 2021: এবার Anubrata Mandal-কে শোকজ করল কমিশন
প্রসঙ্গত, রবিবার শীতলকুচি গুলিকাণ্ডে তৃণমূলনেত্রীর বিরুদ্ধে 'মৃত্যু নিয়ে তোষণে রাজনীতি'র অভিযোগ করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বলেছিলেন, আমতলির ৪ জনকে শ্রদ্ধা জানালেন, ফোন করলেন, পাশে দাঁড়ালেন। অথচ আনন্দ বর্মনের মৃত্যু নিয়ে একটা শব্দও বললেন না। কারণ, আনন্দ রাজবংশী সম্প্রদায়ের যুবক। দিদির ভোটব্যাঙ্ক নয়।’