Kakdwip: আতঙ্ক বাড়ছে সাগর-নামখানায়, কোটালের জল ঢুকে গেল কাকদ্বীপে
নিম্ন চাপের প্রভাবে বৃষ্টি যেমন হচ্ছে তেমনি দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। পাশাপাশি ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে
নকিবুদ্দিন গাজি, কিরণ মান্না ও মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: বঙ্গোপসাগরের তৈরি হওয়া নিম্নচাপের জেরে সকাল থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী এলাকায় শুরু হয়েছে মুষলধারে বৃষ্টি। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। পাশাপাশি পূর্ণিমায় কোটালের জেরে বেড়ে গিয়েছে নদীর জলস্তর। সেই জল নদী বাঁধ ছাপিয়ে ঢুকে পড়েছে কাকদ্বীপ বাজারে। বহু দোকানঘরে ঢুকে গিয়েছে নদীর জল। এক হাঁটু জল পেরিয়ে যাতায়াত করছেন সাধারণ মানুষজন। অন্যান্য বিভিন্ন এলাকায় নদীবাঁধের সমান হয়ে গিয়েছে জল। ভাটা না হলে ঢুকে যাওয়া জল নামার কোনও সম্ভাবনা নেই। এর ফলে আতঙ্ক বাড়ছে সাগর, নামখানা, মৌসুমী দ্বীপ-সহ বিভিন্ন এলাকায়। নিম্নচাপের জেরে সাধারণ মানুষ যাতে সমস্যায় না পড়ে তার জন্য ডায়মন্ডহারবার মহকুমার পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। রবিবার ছুটি থাকায় কাকদ্বীপ, মানখানা সহ সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় মানুষজন বেড়াতে এসেছিলেন। ঝিরঝিরে বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ায় তাদের অনেকেই বিপাকে পড়ে গিয়েছেন। হোটেল বা গেস্টহাউস থেকে বের হতেই পারছে না অনেকে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সাবধান করা হচ্ছে। অনেক জায়গায় পর্যটকদের জলে নামতে নিষেধ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-শেয়ারবাজারের রাজা, আকাশা এয়ারের স্রষ্টা রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা প্রয়াত
এদিকে, দীঘা, মন্দারমনি সহ সমুদ্র উপকূলবর্তী বিভিন্ন এলাকায় কখনও হালকা, কখনও ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস রয়েছে সমুদ্র উত্তাল হতে পারে। মত্সজীবীদের ফিরতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এসব উপেক্ষা করেও দীঘায় হাজির হয়েছেন লক্ষাধিক পর্যটক। মাইকিং করে পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হলেও আজ কয়েকজন পর্যটক জলে নেমে পড়েন। তাদের তাড়া করে সমুদ্রে থেকে তোলে পুলিস। এদের মধ্যে একজন তলিয়েও যাচ্ছিলেন। তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে দীঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আগামিকাল স্বাধীনতা দিবস। এনিয়ে সতর্ক রয়েছে প্রশাসন। এই সময়ে যাতে কোনও নাশকতার ঘটনা না ঘটে তার জন্য সতর্ক রয়েছে পুলিস। জায়গায় জায়গায় চলছে নাকা চেকিং। ওড়িশা সীমান্তেও চলছে কড়া প্রহরা।
অন্যদিকে, নিম্ন চাপের প্রভাবে বৃষ্টি যেমন হচ্ছে তেমনি দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। পাশাপাশি ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির পরিমাণ আরও বড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। কলকাতায় আজ সারাদিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে।