যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়েই কি পাহাড়ে অভিযানে নেমেছিল পুলিস? উঠছে প্রশ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদন: দার্জিলিংয়ে পুলিসি অভিযানের সময়ে নিহত হয়েছেন এসআই অমিতাভ মালিক। হাই প্রোফাইল অভিযান। কিন্তু এই হাই প্রোফাইল অভিযানের জন্য সত্যি কি যথেষ্ট প্রস্তুতি ছিল? যে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল, তাতে কি বিমল গুরুংকে আদৌ ধরা যেত? এর আগে নামচিতে অভিযান সফল হয়নি।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বিমল গুরুং সিকিমের সীমান্ত পেরিয়ে এই রাজ্যের জঙ্গলে ক্যাম্প করে রয়েছেন এমন খবরের ভিত্তিতে অভিযানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাতের দিকেই তাঁরা অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু এখানেই প্রশ্নটা উঠছে, অত্যন্ত দুর্গম ওই অঞ্চলে পরিকাঠামো ও প্রশিক্ষণ কি পুলিশের ছিল? পুলিশের অভিযানের ক্ষেত্রে যে প্রক্রিয়া মেনে চলার কথা তার কতটা মেনে চলা হয়েছে? কারণ, বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের শক্তি কতটা ছিল, তাঁদের কাছে অস্ত্রসস্ত্রও কতটা ছিল, সেই বিষয়টাও আগে থেকে ভালো করে জেনে নেওয়া উচিত্ ছিল। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, অভিযানের সময়ে পুলিস কি আদৌ যথেষ্ট তৈরি ছিল? এলাকা সম্পর্কে কি পুলিসের যথেষ্ট স্পষ্ট ধারণা ছিল? রাতে অভিযানের মতো যথেষ্ট প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি কি ছিল?
চোর-পুলিস খেলা! অল্পের জন্য হাতছাড়া বিমল গুরুং
প্রশ্ন উঠছে পুলিশের গোয়েন্দাতথ্যের প্রস্তুতি নিয়েও। গুরুংয়ের দেহরক্ষীদের কাছে যে একে ৪৭-এর মতো স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে তা কি জানা ছিল তাদের? জানলে কেন যথেষ্ট প্রস্তুতি না নিয়ে অভিযানে নামল তারা। কেন এত বড় অপারেশনে একটা হেলমেট পর্যন্ত ছিল না পুলিশকর্মীদের মাথায়? ছিল না বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটও। বিনা প্রস্তুতিতে এই ধরনের অপারেশনই কি প্রাণ কাড়ল অমিতাভ মালিকের? প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে।