করোনা কাটিয়ে ফিরছে পৌষ মেলা, রাজ্য সরকারকে সাহায্যের আবেদন বিশ্বভারতির উপাচার্যের
বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে গত ২৯ জুন মুখ্যসচিবকে চিঠিতে উপাচার্য জানান বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পৌষমেলা আয়োজন করতে ইচ্ছা প্রকাশ করলেও রাজ্য সরকারের আর্থিক ও প্রশাসনিক সাহায্য ছাড়া এককভাবে আয়োজন করা সম্ভব নয়। রাজ্য সরকার যদি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এই বছর শান্তিনিকেতনের মেলার মাঠে পৌষমেলা করতে আগ্রহী।
প্রসেনজিৎ মালাকার: পৌষমেলা আয়োজনে ইচ্ছা প্রকাশ করে রাজ্য সরকারের সাহায্য চেয়ে মুখ্যসচিবকে চিঠি লিখলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
করোনা সংক্রমণের কারণে গত দুবছর পৌষমেলা আয়োজন থেকে বিরত ছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরিবর্তে ঘরোয়াভাবে পৌষ উৎসবের আয়োজন করা হয়। এই বছর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই ফের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা আয়োজন করার পক্ষে ইচ্ছা প্রকাশ করে গত ২৯ জুন রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে চিঠি লেখেন উপাচার্য। বিশ্বভারতীর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বোলপুরের হস্তশিল্পী ও ব্যবসায়ীরা। যদিও কর্তৃপক্ষের তরফে এই বিষয় কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
বিশ্বভারতীর অন্যতম বড় দুটি উৎসব পৌষমেলা এবং বসন্ত উৎসব। এই দুটি উৎসবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সমবেত হয় শান্তিনিকেতনে। আর্থিক সঙ্গতির কারণে পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা মূলত এই দুটি উৎসবের দিকেই তাকিয়ে থাকেন। কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণে গত দুবছর ধরে পৌষমেলা হয়নি শান্তিনিকেতনে।
স্থানীয় হস্তশিল্পী ও ব্যবসায়ীরা কর্তৃপক্ষকে বারবার আবেদন করলেও সংক্রমণের কারণ দেখিয়ে তা আয়োজন করা থেকে বিরত থাকে বিশ্বভারতী। ফলে মেলার মাঠে পৌষমেলা না হওয়ায় গত দুবছর ধরে বোলপুরের জেলা পরিষদের ডাকবাংলা ময়দানে বিকল্প পৌষমেলার আয়োজন করে বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি ও বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ। কিন্তু এই বছর করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় পৌষ মেলা আয়োজনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ইতিমধ্যেই বিশ্বভারতীর কর্মী পরিষদ শান্তিনিকেতন ট্রাস্টকে চিঠি লিখে পৌষ মেলা আয়োজন করার জন্য আর্জি জানিয়েছেন। এর মাঝে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী আরও এক ধাপ এগিয়ে রাজ্য সরকারের সাহায্য চেয়ে চিঠি লিখেছেন রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামের আইসিডিএস সেন্টারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, কড়াইতে পড়ে ঝলসে গেল শিশু
বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে গত ২৯ জুন মুখ্যসচিবকে চিঠিতে উপাচার্য জানান বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পৌষমেলা আয়োজন করতে ইচ্ছা প্রকাশ করলেও রাজ্য সরকারের আর্থিক ও প্রশাসনিক সাহায্য ছাড়া এককভাবে আয়োজন করা সম্ভব নয়। রাজ্য সরকার যদি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এই বছর শান্তিনিকেতনের মেলার মাঠে পৌষমেলা করতে আগ্রহী।
স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বভারতীর এই উদ্যোগে খুশির হওয়া শান্তিনিকেতনে। পৌষমেলা আয়োজিত হলে আর্থিকভাবে লাভবান হবেন স্থানীয় হস্তশিল্পী ও ব্যবসায়ীরা। তাই উপাচার্যের সদিচ্ছাকে স্বাগত জানিয়েছেন তারা।