এল সেই ঐতিহাসিক মুহূর্ত, বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠান মঞ্চে মোদী-হাসিনা-মমতা
তৈরি হল এক আবেগঘন মুহূর্ত। দীর্ঘ ৫ বছর পর বিশ্বভারতীর এই সমাবর্তন অনুষ্ঠান যে এক ঐতিহাসিক পর্ব তৈরি হতে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা এবং অধীর আগ্রহ। হেলিপ্যাডের নৈঃশব্দে সূচ ফোটাল চপারের আওয়াজ। পানাগড়ে পৌঁছলেন নরেন্দ্র মোদী। উত্তরীয়, ফুলে তাঁকে স্বাগত জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সৌজন্য বিনিময়ের পাশাপাশি হল সামান্য আলাপচারিতাও। রাজনৈতিক মতানৈক্যের উর্ধ্বে এক অনন্য দৃশ্যের সাক্ষী থাকলেন রাজ্যবাসী।
বেলা সাড়ে ১০টা, রবিঠাকুরের ভূমিতে পা রাখলেন আচার্য মোদী। তার আগেই শান্তিনিকেতনে উপস্থিত হয়ে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সৌজন্য বিনিময় হয় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে। উত্তরীয় পরিয়ে তাঁদের স্বাগত জানান বিশ্বভারতীর উপাচার্য সবুজকলি সেন। দীর্ঘ ৫ বছর পর বিশ্বভারতীর এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত তৈরি হতে চলেছে। একইমঞ্চে এদিন থাকছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সমাবর্তন অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে ভিডিটার্স বুকে নিজের মনের কথা লেখেন ‘আচার্য’ মোদী। এরপর শান্তিনিকেতন চত্বরে অধ্যাপক, অতিথিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত্ করেন মোদী-হাসিনা। বাঁশের ব্যারিকেডের ওপারে প্রতীক্ষারত ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে তখন উদ্দীপনা তুঙ্গে। মোদী-হাসিনাকে এক ঝলক দেখার অপেক্ষা! ততক্ষণে হাত নাড়িয়ে, ‘মোদী মোদী’ শ্লোগান তুলেছেন বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রীরা। উদ্বোধনী সঙ্গীতের মধ্যে দিয়েই এরপর শুরু হয় সমাবর্তন অনুষ্ঠান। মঞ্চে উপস্থিত 'আচার্য' নরেন্দ্র মোদী, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রা্জ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী, বিশ্বভারতীর উপাচার্য সবুজকলি সেন।