রাস্তা না চাষের ক্ষেত বোঝা দায়, ধান রোপন করে প্রতিবাদ গ্রামবাসীর

রোগী বা গর্ভবতী মায়েদের খাটে করে পাশের গ্রাম পুরশুড়াতে এনে অ্যাম্বুলেন্সে চাপাতে হয়। একটু বৃষ্টিতে রাস্তার উপর দিয়ে বয়ে যায় জল।

Updated By: Jul 15, 2020, 07:43 PM IST
রাস্তা না চাষের ক্ষেত বোঝা দায়, ধান রোপন করে প্রতিবাদ গ্রামবাসীর
ধান পোঁতা হয়ে যেতে অবশ্য কোনটা রাস্তা, কোনটা ক্ষেত আরই বোঝা যাচ্ছিল না

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভোট আসে, ভোট যায়।মেলে শুকনো প্রতিশ্রতি। কিন্তু ওই পর্যন্তই।  পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে আদিবাসী গ্রামের মাটির রাস্তা এখনও পাকা হয় নি। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত ও বিডিও অফিসে বারে বারে জানিয়েও সুরাহা না মেলায় রাস্তায় ধান রোপন করে প্রতিবাদ জানালেন গ্রামবাসীরা। 

গলসি ২ নম্বর ব্লকের মসজিদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সুলুম গড়িয়া এলাকার আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম নামেই পরিচিত। গ্রামবাসীরা জানান হাট বাজার, স্কুল, হাসপাতাল যেকোনো  প্রয়োজনে তাদের যাতায়াতের  জন্য একটি রাস্তা। কিন্তু সেই রাস্তা এখন চলাচলের অযোগ্য। প্রায় দেড় কিমি কাঁচা রাস্তা এখন কাদায় ভর্তি। ভরা বর্ষায় এই খানাখন্দভরা মাটির রাস্তা দিয়ে নিত্য যাতায়াতের করতে হয় তাদের। বৃষ্টির হলে কাদা আর রোদ উঠলে ধুলো তাদের নিত্য সঙ্গী। পাশাপাশি বর্ষাকালে শহরে যেতে হলে সাইকেল কাঁধে নিয়েই চলাচল করতে হয়। কারণ পাশের গ্রাম পরশুড়া থেকে বাজার ৮ কিমি দূরে অবস্থিত।

তাছাড়া রোগী বা গর্ভবতী মায়েদের খাটে করে পাশের গ্রাম পুরশুড়াতে এনে অ্যাম্বুলেন্সে চাপাতে হয়। একটু বৃষ্টিতে রাস্তার উপর দিয়ে বয়ে যায় জল। একমাত্র যাতাযাতের রাস্তার এমন হাল দেখে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে গ্রামের প্রসূতি মায়েদের। নিত্য দুর্ভোগ থেকে মুক্তি না মেলায় রাস্তায় ধান রোপন করে প্রতিবাদ জানালেন গ্রামবাসীরা।

এই বিষয়ে গলসী ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বাসুদেব চৌধুরী বলেন খুব তাড়াতাড়ি ওই মাটির রাস্তায় মোরাম দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। ইতিমধ্যেই তার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করে আইএসজিপি সেলে পাঠানো হয়েছে।অনুমতি পেলেই কাজ শুরু হবে।এখানে উল্লেখ্য এই রাস্তা বাম আমলে তৈরি হয়।তার পর দীর্ঘদিন রাস্তায় কোন সংস্কার হয় নি।গ্রামবাসীদের অভিযোগ গত দশ বছরে ওই  রাস্তায় এক ঝুড়ি মাটিও পড়েনি।

আরও পড়ুন : লঙ্কা কাণ্ড! করোনা রুখতে বন্দুক হাতে রাস্তায় টহল দিচ্ছে আমজনতা

.