#উৎসব : দামোদরের পাড়ে উমার আগমনী, নজর কাড়ছে বাংলার দু'ভাইয়ের জাদু কীর্তি

অনিমেষ রায় আর জীবনানন্দ রায়। পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের (Durgapur) দুই ভাই। হাতে যেন জাদু আছে! আর সেই জাদু স্পর্শেই দামোদর পাড়ে প্রাণ পেল বালি দিয়ে তৈরী মহিষাসুরমর্দিনী (Sand Durga)। 

Edited By: সুদেষ্ণা পাল | Updated By: Oct 10, 2021, 12:30 PM IST
#উৎসব : দামোদরের পাড়ে উমার আগমনী, নজর কাড়ছে বাংলার দু'ভাইয়ের জাদু কীর্তি
দামোদরের পাড়ে উমার আগমনী

নিজস্ব প্রতিবেদন : ছোটবেলা থেকেই দুই ভাই বাবাকে দেখত ঠাকুর বানাতে। অবাক চোখে চেয়ে থাকত শিশুমন। দেখত, বাবার হাতের জাদুতে কেমন যেন ধীরে ধীরে জীবন্ত হয়ে উঠছে দুর্গা প্রতিমা। বাবাকে দেখেই অনুপ্রেরণা পাওয়া। বাবার হাত ধরেই প্রতিমা গড়ার হাতেখড়ি। ধীরে ধীরে সেই ভালো লাগা বদলে যায় নেশায়। আর আজ সেই নেশা-ই বদলে গিয়েছে পেশায়। দামোদরের পাড়ে বালি দিয়ে মহিষাসুরমর্দিনীর মূর্তি (Sand Durga) গড়ে তাক লাগিয়ে দিল দুর্গাপুরের (Durgapur) দুই ভাই।  

অনিমেষ রায় আর জীবনানন্দ রায়। পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের (Durgapur) বীরভানপুর গ্রামের দুই কৃতী ভাই। দুই ভাইয়ের হাতে যেন জাদু আছে। আর সেই জাদু স্পর্শেই দামোদর পাড়ে প্রাণ পেল বালি দিয়ে তৈরী মহিষাসুরমর্দিনী (Sand Durga)। এ যেন এক জীবন্ত শিল্পীস্বত্তা। যে স্বত্তা বেঁচে থাকবে হৃদয়ের মণিকোঠার অন্তঃস্থলে। দিনের পর দিন। 

দামোদর নদের ধারেই বীরভানপুর গ্রাম। সেই গ্রামেই বেড়ে ওঠা অনিমেষ ও জীবনানন্দের। বাবা মৃৎশিল্পী। তাই ছোট থেকেই চোখের সামনে দুই ভাই বাবাকে দেখেছে কীভাবে মাটি দিয়ে একটু একটু করে প্রতিমা গড়া হচ্ছে। বাবাকে দেখেই মূর্তি গড়ায় হাতেখড়ি। শুরু হয় মাটি দিয়ে একটু একটু করে প্রতিমা গড়ার পাঠ। আর তারপর... বাকিটা আজ সবার চোখের সামনে। অসাধারণ এই ভাস্কর্যকে দেখে বাগরুদ্ধ সবাই।  

দামোদরে পাড়ে বালি দিয়ে প্রতিমা গড়ে উমার আগমনী বার্তা এনেছে দুই তরুণ। অভাবি পরিবারের দুই সন্তান। অভাবি পরিবারের দুই ভাইয়ের আজ নেশা-ই পেশায় পরিণত হয়েছে। কিন্তু আক্ষেপ একটা রয়েছে। সেই কদর কই! পেট যে চলে না! তাই দুই ভাইয়েরই আর্জি, যদি একটু সরকারি সহযোগিতা মেলে! একই কথা বললেন দামোদরের পাড়ে বালির দুর্গা (Sand Durga) দেখতে আসা অগণিত সাধারণ মানুষও। 

আরও পড়ুন, #উৎসব: এতগুলি পুজো উদ্বোধন করলাম কেউ এক কাপ চা দেয়নি, আক্ষেপ Mamata-র

দুই ভাইয়ের তৈরি বালির দুর্গার আয়ুষ্কাল তো ক্ষণস্থায়ী! কয়েক ঘণ্টা ধরে যে মূর্তি তৈরি করা, এক মুহূর্তে দামোদরের জল এসে ভাসিয়ে দিতে পারে সেই অসামান্য ভাস্কর্যকে! বা নষ্ট হয়ে যেতে পারে অন্য কোনও ভাবেও। দুর্গাপুরের দুই তরুণের কথায়, তবু যে মানুষের মনে বেঁচে থাকবে তাঁদের এই শিল্প, সেটাই তাঁদের শিল্পী জীবনের সবচেয়ে বড় পুরস্কার।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.