বাড়ছে অজানা জ্বরের দাপট, সঙ্গীন হাল উত্তর ২৪ পরগনার
নিজস্ব প্রতিবেদন: জেলায় জেলায় বাড়ছে অজানা জ্বরের দাপট। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। এরমধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা জেলাতেই ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একজন মারা গেছেন নদিয়ায়। জেলায় জেলায় লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তে সংখ্যা। সবচেয়ে সঙ্গীন হাল উত্তর ২৪ পরগনার।
অজানা জ্বরে এক শিশুর মৃত্যু হল কদম্বগাছিতে। কয়েকদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিল সুহানা পরভিন। সোমবার তাকে ভর্তি করা হয় বারাসাত হাসপাতালে। সেখানেই মারা যায় সুহানা। অজানা জ্বরে ভুগে মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়েরও। কালসরা গ্রামের গোপাল সর্দার জ্বরে ভুগছিলেন। রক্ত পরীক্ষা করানো হয়। বারাসাত হাসপাতালে চিকিৎসাও চলছিল। শনিবার রাতে মৃত্যু হয় গোপালবাবুর।
অজানা জ্বরের বলি হলেন কাঁচরাপাড়ার এক গৃহবধূও। কাঁচরাপাড়ার ১৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা পুনম কুমারি শর্মা। দিনকয়েক আগে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। তড়িঘড়ি তাঁকে প্রসব করান চিকিত্সকরা। তারপর থেকে আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন পুনম দেবী। শনিবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। একই এলাকায় অজানা জ্বরের বলি প্রতিবন্ধী নয়না হেলাও। নভেম্বরের এক তারিখ থেকে ভুগছিলেন নয়না।
অজানা জ্বর থাবা বসালো অশোকনগরেও। বনবনিয়ায় অজানা জ্বরে ভুগছিলেন সোমা দেব। কিন্তু, হাবরা হাসপাতালে তাঁর ঠাঁই মেলেনি। বাড়িতেই চিকিৎসা চলছিল। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বারাসাত হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
দেগঙ্গা থেকে আর জি কর হাসপাতালে আনার পথে মারা গেলেন তেলিয়া গ্রামের মানুয়ারা বিবির। জ্বর নিয়ে ভর্তি ছিলেন বারাসত হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় রেফার করা হয় আর জি করে। কিন্তু, হাসপাতালে পৌছনোর আগেই মারা যান তিনি।
জ্বরের প্রকোপ থেকে রেহাই নেই নদিয়ারও। দিনকয়েকের জ্বরে ভুগে মারা গেলেন চোপড়ার সাহাবুল ফকির। মুম্বইয় থেকে জ্বর নিয়েই বাড়ি ফেরেন সাহাবুল। এনআরএস হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষার পর এনএস ১ পজিটিভ বলা হয়। কৃষ্ণনগর শক্তিনগর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখানেই শনিবার রাতে মারা যান।
শহরে ডেঙ্গির দাপট অব্যাহত। কেষ্টপুরে ডেঙ্গিতে মৃত্যু হল বছর দশের শিশুর। বিছানায় ছড়িয়ে অজস্র মেডেল। পড়ে রয়েছে ট্রফি। নেই শুধু মালিক। বছর দশের সৌম্যজিতকে কেড়ে নিয়েছে ডেঙ্গি। ফুটবল অন্ত প্রাণ ছিল ছেলেটার। পড়াশোনা বাদ দিলে বাকি সময়টা কাটত খেলার মাঠেই। সোমবার থেকে দস্যি ছেলেটার হঠাৎ জ্বর। পরের দিনই রক্ত পরীক্ষা। ধরা পড়ে ডেঙ্গি। প্লেটলেট ভালো থাকায় বাড়িতে রেখেই চলছিল চিকিৎসা। শুক্রবার আচমকাই পরিস্থিতি বদল। ঘনঘন বমি। ছেলেকে নিয়ে বি সি রায় হাসপাতালে দৌড়ন বাবা। শেষরক্ষা হয়নি।
আরও পড়ুন-পুরুষদের পর এবার এশিয়া কাপে হকিতে চ্যাম্পিয়ন ভারতের মহিলারা