কোভিড-অসুরকে মারতে আরও 'অস্ত্রে'র ব্যবস্থা রাজ্যের
পুজোর ছুটিতেও কোনও গাফিলতি নয়
নিজস্ব প্রতিবেদন: শুরু হয়ে গিয়েছে পুজো। কিন্তু পুজোর ছুটির মধ্যেও যাতে কোভিড-লড়াইয়ে কোনও গাফিলতি না আসে সেজন্য উদগ্রীব রাজ্য সরকার।
কোভিডের সঙ্গে লড়তে তাই আবার নতুন করে কোমর বাঁধল রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রীও রাজ্যের দৈনন্দিন কোভিড-পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন ও প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিচ্ছেন।
কলকাতায় কোভিড নিয়ন্ত্রণের কাজে তদারকির জন্য রাজ্য সরকার স্বরাষ্ট্রসচিব শ্রী হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়েছে।
রাজ্যের সমস্ত কোভিড হাসপাতালের রোগীদের চিকিৎসার উপর নজরদারির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ জন্য একটি ত্রিস্তরীয় ব্যবস্থাও তৈরি করা হয়েছে। স্থানীয় মেডিকেল কলেজের বিশেষজ্ঞরা সারা রাজ্যের কোভিড হাসপাতালগুলি পরিদর্শন করছেন এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক এবং চিকিৎসা কর্মীদেরদের জরুরি পরামর্শ দিচ্ছেন।
স্বাস্থ্য দপ্তরের বরিষ্ঠ আধিকারিকদের ওপর এক একটি হাসপাতালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই আধিকারিকরা সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে দৈনন্দিন চিকিৎসা এবং তার সুবিধা-অসুবিধার ব্যাপারে নজর রাখছেন।
পাশাপাশি, স্বাস্থ্য ভবনও তাদের কোভিড-পরিষেবা উন্নত করছে। এ বিষয়ে সাম্প্রতিকতম যে সিদ্ধান্তগুলি স্বাস্থ্য ভবনের তরফে নেওয়া হয়েছে সেগুলি হল--
কোভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্য বেড বাড়ানোর পাশাপাশি রাজ্য সরকার আরও ২০০ ডাক্তার এবং ১৫০০ নার্সিং স্টাফ নিয়োগ করতে শুরু করেছে।
যাদবপুরের কে এস রায় টিবি হাসপাতালটি পুরোপুরি কোভিড হাসপাতাল করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এখানে কোভিড রোগীদের জন্য বরাদ্দ করা হবে ১৩০টি বেড।
সঙ্কটজনক কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় অক্সিজেন থেরাপি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ধরনের রোগীদের চিকিৎসার সুবিধার জন্য রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর ভেন্টিলেটর ব্যবস্থাকে উন্নত করার উদ্যোগ নিয়েছে। ভেন্টিলেটর যন্ত্রে হিউমিডিফায়ার যোগ করে এই ভেন্টিলেটরগুলিকে বাইপ্যাপ, এইচএফএনও (HFNO)এবং ইনভেসিভ ও নন-ইনভেসিভ ভেন্টিলেটর হিসেবে ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গত ২০ অক্টোবর স্বাস্থ্য ভবন থেকে অনলাইনে রাজ্যের সমস্ত কোভিড হাসপাতালের চিকিৎসক এবং চিকিৎসাকর্মীদের এই ব্যাপারে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে যাঁরা বিশেষজ্ঞ তাঁরা স্বাস্থ্য ভবনে উপস্থিত ছিলেন এবং চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীদের নানা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।
স্বাস্থ্য দপ্তর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্রতি সপ্তাহে রাজ্যের সমস্ত কোভিড হাসপাতালের চিকিৎসক এবং চিকিৎসাকর্মীদের অনলাইনে চিকিৎসা সংক্রান্ত নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা হবে।
আরও পড়ুন: মোদী-শাহ কথা রাখেননি, মমতা যা বলেন তাই করেন, একুশের আগে ডিগবাজি গুরুংয়ের