June Malia: বিক্ষোভের মুখে জুন মাল্য, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ বিজেপি-র
ঘটনা নিয়ে অস্বস্তিতে শাসক দল। বিধায়ক জুন মালিয়া কোনও প্রতিক্রিয়া দেবেন না বলে চলে গেলেও মেদিনীপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান বলেন, দিদি কারোর সঙ্গে কথা বলেন নি, এক অসুস্থ কর্মীকে দেখতে গিয়েছিলেন।
চম্পক দত্ত: এবার বিধায়ক জুন মালিয়ার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর তথা মেদিনীপুর শহরের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন। তার ওয়ার্ডে বিধায়ক গিয়ে দলীয় কর্মসূচিতে যোগদান না করায় বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতার সঙ্গে গল্প করছেন বলে অভিযোগ তার। শুধু তাই নয় ঘটনার সময় এলাকার তৃণমূল কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে তড়িঘড়ি জুন মালিয়া এলাকা থেকে বেরিয়ে যান। বেরোনোর সময় গাড়ির পাশ থেকে স্লোগানও ওঠে দলবিরোধী কাজ মানছি না,মানব না।
উল্লেখ্য, শনিবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে পানপাড়া এলাকায় গিয়েছিলেন জুন মালিয়া। সেখানেই তিনি চা চক্রে যোগ দেন। তখন অন্যদিকে ছিল ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোজাম্মেল হোসেনের ডাকে অভিষেক বন্ধপাধ্যায়ের সভার প্রস্তুতি সভা। কিন্তু জুন এলাকায় গেলেও যায়নি সভাতে। এমনকি দেখাও করেননি কাউন্সিলরদের সঙ্গে।
অন্যদিকে যেই নেতার কাছে যাওয়া নিয়ে অভিযোগ, সেই এরশাদ আলির দাবি, জুন আমাদের বাড়ির সামনে এসেছিলেন, দিদির দুত হিসেবে প্রচার করলেন, অভিযোগ শুনলেন। আমিও গিয়েছিলাম সাধারণ মানুষ হিসেবে।
তবে ঘটনা নিয়ে অস্বস্তিতে শাসক দল। বিধায়ক জুন মালিয়া কোনও প্রতিক্রিয়া দেবেন না বলে চলে গেলেও মেদিনীপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান বলেন, দিদি কারোর সঙ্গে কথা বলেন নি, এক অসুস্থ কর্মীকে দেখতে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: Bengal Weather Update: ফের ইউটার্ন শীতের, রাজ্যে কমছে তাপমাত্রার পারদ
দলের জেলা কোঅর্ডিনেটর তথা বিধায়ক অজিত মাইতি বলেন, বিষয়টি বিরাট কোনও বড় ব্যাপার নয়। হয়তো কোনও ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে তিনি দুপক্ষকে ডেকে কথা বলে বিষয়টি মিটমাট করে দেবেন। তবে তিনি এটাও বলেন যে জুন তার নিজের ইচ্ছাতে যাননি। দল থেকে একটা কর্মসূচির সিডিউল করে দেওয়া হয় যে কে কোথায় কার সঙ্গে দেখা করবে। সেই মতোই হয়তো জুন গিয়েছিল। কাউন্সিলর মোজাম্মেল হোসেনের হয়তো বুঝতে কোনও ভুল হয়েছে। কথা বলে বিষয়টা মিটিয়ে নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: Malda Eve Teasing: বোনকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করে আক্রান্ত দাদা! কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা
যদিও ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে বিজেপি তৃণমূল চাপানউতোর। বিজেপির দাবি, এই ঘটনা আরও একবার প্রমাণ করে দিল মেদিনীপুর শহরে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব কতটা প্রকট। ওই কাউন্সিলর এমএলএ গোষ্ঠীর লোক নয়, সেই জন্য কাউন্সিলরকে না জানিয়ে বিধায়ক ও চেয়ারম্যান তারই ওয়ার্ডে চা চক্র করতে গিয়েছিলেন। গিয়ে ক্ষোভের মুখে তড়িঘড়ি ঘুরে এসে এখন অসুস্থ সহকর্মীকে দেখতে যাওয়ার গল্প ফাঁদছেন।