কেতুগ্রামে খুন তৃণমূল পঞ্চায়েত সভাপতি! পরিচিত কেউই খুন করেছে, অনুমান পুলিসের

দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন কেতুগ্রাম ১ নং ব্লকের তৃণমূল পঞ্চায়েত সভাপতি জাহির শেখ।  গতকাল রাতে রাইখা বাসস্ট্যান্ডের কাছে তাঁর মাথায় বেশ কয়েকটি গুলি করে দুষ্কৃতীরা। সে সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সরকারি রক্ষী। 

Updated By: Apr 13, 2017, 09:43 AM IST
কেতুগ্রামে খুন তৃণমূল পঞ্চায়েত সভাপতি! পরিচিত কেউই খুন করেছে, অনুমান পুলিসের

ওয়েব ডেস্ক: দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন কেতুগ্রাম ১ নং ব্লকের তৃণমূল পঞ্চায়েত সভাপতি জাহির শেখ।  গতকাল রাতে রাইখা বাসস্ট্যান্ডের কাছে তাঁর মাথায় বেশ কয়েকটি গুলি করে দুষ্কৃতীরা। সে সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সরকারি রক্ষী।  ঘটনার পর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ মিলছে না। এর আগেও দুবার হামলা হয় তাঁর ওপর। দিন দশেক আগে দেহরক্ষী পান জাহির শেখ। এছাড়াও তাঁর সঙ্গে থাকতেন তাঁর নিজস্ব দেহরক্ষীও। তাঁর পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেছেন, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ জাহাঙ্গির শেখ ও কাটারি গ্রামের তুফান শেখের বিরুদ্ধে। ঘটনার পরই জাহির শেখের অনুগামীরা আগুন ধরিয়ে দেয় জাহাঙ্গির শেখের বাড়িতে। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি খড়ের গাদায়ও। 

প্রাথমিক তদন্তে পুলিস কার্যত নিশ্চিত, জাহির শেখকে খুন করেছে তাঁর অত্যন্ত পরিচিত কেউ। এখনও পর্যন্ত যে তথ্য পুলিস সংগ্রহ করেছে, তাতে জোরালো হচ্ছে, ঘটনায় জাহিরের কোনও পরিচিতের যোগ। সাধারণত, নিজের গাড়িতেই যাতায়াত করতেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জাহির শেখ। সঙ্গে থাকতেন তাঁর ব্যক্তিগত দেহরক্ষী। থাকতেন একজন সরকারি গার্ডও। গতকালও পার্টি অফিস থেকে নিজের গাড়িতেই বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। এরপর সরকারি গার্ডের বাইকে রাইখা বাজারের একটি সেলুনে যান তিনি। সেখানেই তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে কয়েকজন দুষ্কৃতী। অভিযোগ, সেই দলে ছিল কাটারি গ্রামের তুফান শেখও।  তুফান শেখের সঙ্গে অত্যন্ত ভাল সম্পর্ক ছিল জাহিরের। তাই তুফানকে দেখেই বাইক থেকে নেমে আসেন জাহির। দু চারটে কথাও হয় তাঁদের মধ্যে। এরপরই খুব কাছ থেকে লক্ষ্য করে তার মাথায় বেশ কয়েকটি গুলি করে দুষ্কৃতীরা।  

কেন জাহাঙ্গীর শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে আসছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, জাহির আর জাহাঙ্গির দুজনেই অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিল। এলাকায় ছোট বড় সব ধরনের কাজ চলত তাঁদের নির্দেশেই। সে সরকারিই হোক বা বেসরকারি। কাজ পেতেন জাহির-জাহাঙ্গীরের ঘনিষ্ঠরা। সূত্রের খবর,  টাকার বখরা নিয়ে গন্ডগোল হয় দুজনের। কথা কাটাকাটি হয়। মনোমালিন্য হয়। এর পর থেকে দূরত্ব বাড়ে দুজনের মধ্যে। সে কারণেই খুন। পুলিসের প্রাথমিক সন্দেহ, কাটারি গ্রামের তুফানের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল জাহিরের। সেই সুসম্পর্ককে কাজে লাগিয়েই জাহিরকে খুন করা হয়েছে।

.