Lakshmir Bhandar: সভায় মহিলাদের সংখ্যা এত কম কেন! লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধের হুমকি তৃণমূল নেতার
বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তন্ময় দাস বলেন, তৃণমূলের সংস্কৃতিই হল মহিলাদের অপমান করা। ওই মন্তব্য থেকে প্রমাণ হয় ভোটের আগে মহিলাদের পাঁচশো টাকা করে দিয়ে ভোট কিনতে চেয়েছিল। অর্থাত্ ভিক্ষে হিসেবে দিয়েছিল
চম্পক দত্ত: সভায় মহিলাদের সংখ্যা বেশ কম। দেখে বেজায় চটে গেলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল তৃণমূল সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান অমল পান্ডা। তাঁর হুমকি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার মহিলাদের অনেক সুযোগ দিচ্ছেন। তার পরেই এই অবস্থা। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেওয়া উচিত। তৃণমূল নেতার ওই কথায় সরব হল জেলা বিজেপি।
আরও পড়ুন-টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বিরাট, রোহিত দুই মহাতকার ভবিষ্যৎ কী? জবাব দিলেন রাহুল দ্রাবিড়
বৃহস্পতিবার দাসপুরে তৃণমূলের কিষাণ খেতমজুর সংগঠনের একটি সভা হচ্ছিল। সেখানেই খুব কম সংখ্য়ায় মহিলারা যোগ দেন। ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের ওই সভায় ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাত, প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু-সহ জেলার নেতারা। ওই সভাতেই তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান অমল পান্ডা বলেন, মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় আমাদের যেসব সুযোগ সুবিধে দিয়েছেন সেটাই আমরা ভুলে গিয়েছি। আজ কিষাণ খেতমজুরদের একটা সভা হচ্ছে। আমাদের মধ্যে মায়েদের সংখ্যা অনেকটাই। এখানে সেই মায়েদের উপস্থিতি কম। আমি পূর্ণেন্দুদাকে বলব দিদির সঙ্গে কথা বলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এখানে বন্ধ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। মেয়েদের সংখ্যা এত কম কেন? সংখ্য়া তো অনেক বেশি থাকতে হবে।
তৃণমূল নেতার ওই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তন্ময় দাস বলেন, তৃণমূলের সংস্কৃতিই হল মহিলাদের অপমান করা। ওই মন্তব্য থেকে প্রমাণ হয় ভোটের আগে মহিলাদের পাঁচশো টাকা করে দিয়ে ভোট কিনতে চেয়েছিল। অর্থাত্ ভিক্ষে হিসেবে দিয়েছিল। এই কুমন্তব্যের তীব্র ধিক্কার জানাই। রাজ্য তথা মেদিনীপুরের মহিলারা যথেষ্ট আত্মমর্যাদাসম্পন্ন। তারা এই মন্তব্যের যোগ্য জবাব দেবে।