বিধায়ক খুনের জের, জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তা জোরদারের ভাবনা শাসকদলের
খুনের ঘটনায় স্থানীয়দের অভিযোগ, সেদিন অনুষ্ঠানস্থলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না।
নিজস্ব প্রতিবেদন : নদীয়ার হাঁসখালিতে ভরা অনুষ্ঠানের মাঝে আততায়ীর গুলিতে খুন বিধায়ক। শনিবার সন্ধ্যায় সরস্বতী পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়ে খুন হন কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিত বিশ্বাস। আর এরপরই নড়েচড়ে বসেছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন, দুই বোনের সঙ্গে সম্পর্ক, দুজনকেই বিয়ে! ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে নিদারুণ পরিণতি স্বামীর
নদীয়ার এই ঘটনার পর দলীয় বিধায়কদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত শাসকদল। সূত্রে খবর, বিধায়কদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার ভাবনাচিন্তা চলছে দলের অন্দরে। শুধু বিধায়ক নয়, সকল জনপ্রতিনিধিদেরই নিরাপত্তা বাড়ানো হতে পারে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। উল্লেখ্য, শনিবার সন্ধ্যায় মাজদিয়া-ফুলবাড়িতে সরস্বতী পুজোর ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিধায়ক সত্যজিত বিশ্বাস ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী রত্না ঘোষ কর।
আরও পড়ুন, লাউডস্পিকার বন্ধের নামে মন্দিরে পুলিসের ভাঙচুরের অভিযোগ, বিক্ষোভে রণক্ষেত্র গ্রাম
খুনের ঘটনায় স্থানীয়দের অভিযোগ, সেদিন অনুষ্ঠানস্থলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। একজন মন্ত্রী বা বিধায়ক কোনও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলে, যে ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকার কথা, তার বিন্দুমাত্র ছিল না সেদিন। গলদ ছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থায়। পাশাপাশি, সেদিন ছুটি নিয়েছিলেন বিধায়ক সত্যজিত বিশ্বাসের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী প্রভাস মণ্ডল।
আরও পড়ুন.. গ্রেফতারি নয়, মুকুল রায়ের নদিয়ায় যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা হাইকোর্টের
কিন্তু অফিশিয়ালি না জানিয়ে মৌখিকভাবে ছুটি নিয়েছিলেন তিনি। বিধায়কের জন্য তাঁর বদলি বডিগার্ড হিসেবে কেউ-ই দায়িত্বে ছিলেন না। আর সেই সুযোগটাই নেয় আততায়ী। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে আগেই সাসপেন্ড করা হয়েছে প্রভাস মণ্ডলকে। খুনের পরদিনই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। প্রভাস মণ্ডলের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্তেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।