Siliguri: 'অনুমতি মিলছে না কি নবান্ন থেকে'! অবৈধ নির্মান নিয়ে সরব শাসক দলের কাউন্সিলর

তিনি আরও বলেন, ‘১২০০ স্কোয়ারফিট গোডাউন হওয়ার জায়গায় প্রায় পাঁচ থেকে সাত কাঠা জমি দখল করে অবৈধ নির্মান শুরু হয়েছে। গ্রিন জোনে বিনা প্ল্যানে কী করে কাজ হচ্ছে। কোন নিয়মের তোয়াক্কা না করেই যত্রতত্র বিল্ডিং। কাজ বন্ধ থাকবে এই নির্মানের। কারা করাচ্ছে এগুলো সেটাও দেখতে চাই’। 

Updated By: Mar 19, 2024, 05:42 PM IST
Siliguri: 'অনুমতি মিলছে না কি নবান্ন থেকে'! অবৈধ নির্মান নিয়ে সরব শাসক দলের কাউন্সিলর
নিজস্ব চিত্র

নারায়ণ সিংহ রায়: অনুমতি মিলছে নাকি নবান্ন থেকে! নিয়ন্ত্রিত বাজারের অবৈধ নির্মান নিয়ে সরব খোদ শাসক দলের কাউন্সিলর।  কাউন্সিলের কাজে খানিকটা ক্ষুদ্ধ মেয়র।

উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যতম ব্যাবসায়িক হাব শিলিগুড়ির নিয়ন্ত্রিত বাজার বা রেগুলেটেড মার্কেট। বিগত কয়েকমাস ধরেই অনিয়মের অভিযোগ ওঠে এই নিয়ন্ত্রিত বাজারকে ঘিরে। একদিকে পরিকাঠামোর সমস্যার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। ব্যাবসায়ীদের স্থায়ী সমাধান, চাহিদা অনুযায়ী দোকানের অনুমতি না মেলা বা সঠিক নিকাশি ব্যাবস্থা বা পার্কিং না থাকা এই সমস্যাগুলো প্রতিদিনের সঙ্গী।

অন্যদিকে গোদের উপর বিষফোঁড়া একের পর এক অবৈধ নির্মান। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু নির্মান সম্পন্নও হয়েছে। কোথাও দখল হয়েছে হাইড্রেন আবার আস্ত সরকারি জমির উপরই উঠছে দোকান বা গদি।

আরও পড়ুন: Dev: 'ভালো ছেলে দেব, তবে অসৎ সঙ্গে নরকবাস!'

ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রিত বাজারে গজিয়ে উঠা একের পর এক অবৈধ নির্মান নিয়ে জেলা শাসকদেরও জানানো হয়েছে। পরিদর্শনে গিয়েছেন মন্ত্রী বেচারাম মান্না থেকে আমলারা। কিন্তু তদন্ত সেই তিমিরেই। এলাকার কাউন্সিলরের কথায় ‘অবৈধ নির্মানকারীরা অনুমতি আনছেন খোদ নবান্ন থেকে’। খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে শিলিগুড়ি পুরনিগমের ভূমিকা নিয়ে।

মঙ্গলবার শিলিগুড়ি নিয়ন্ত্রিত বাজারের অন্য আরেকটি অবৈধ নির্মানের কাজ বন্ধ করে দেন খোদ শাসক দলের ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দিলীপ বর্মন। নিয়ন্ত্রিত বাজারে গিয়ে অবৈধ নির্মানের নকশা খতিয়ে দেখেন তিনি। পুরনিগমের অনুমতি প্রাপ্ত নকশা নয়। নির্মানকারী সংস্থার নকশা দেখে নিয়ন্ত্রিত বাজারে চলা অনিয়মের বিরুদ্ধে সুর চড়ান তিনি। দিলীপ বর্মনের সাফ বক্তব্য, ‘কাদের থেকে মিলছে অনুমতি!’ 

দিলীপ বর্মন বলেন, ‘যারা নিয়ন্ত্রিত বাজারের দ্বায়িত্বে আছেন তারাই এই অসাধু কাজের পেছনে জড়িত। মূল সমস্যা দোকান বা গদি সেগুলো এখানকার মানুষ পাচ্ছে না। কলকাতা সহ বাইরের মানুষরা কলকাতা থেকে কাগজ বানিয়ে এখানে আসছেন। কী করে হচ্ছে? আমরা অন্ধকারে রয়েছি’।

তিনি আরও বলেন, ‘১২০০ স্কোয়ারফিট গোডাউন হওয়ার জায়গায় প্রায় পাঁচ থেকে সাত কাঠা জমি দখল করে অবৈধ নির্মান শুরু হয়েছে। গ্রিন জোনে বিনা প্ল্যানে কী করে কাজ হচ্ছে। কোন নিয়মের তোয়াক্কা না করেই যত্রতত্র বিল্ডিং। কাজ বন্ধ থাকবে এই নির্মানের। কারা করাচ্ছে এগুলো সেটাও দেখতে চাই’।

আরও পড়ুন: Rachana Banerjee: 'নাম করে নিয়েছি, খ্যাতি আছে, শেষ ১৫-২০ বছর মানুষের জন্য কিছু করতে চাই'

অন্যদিকে কাউন্সিলরের এমন আচরন নিয়ে কিছুটা ক্ষুদ্ধ শিলিগুড়ির মেয়র তথা নির্মান এমআইসি গৌতম দেব বলেন, ‘এর আগেও মন্ত্রীকে বলেছি। দফতরের সেক্রেটারি ট্রান্সফার হয়েছে। ফের মন্ত্রীকে জানাব’।

নাম না করে কাউন্সিলরের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, ‘ওনাকে বলব যেখানে এধরনের কাজ হচ্ছে সেগুলো আমাদের জানাক, আমরা মন্ত্রীকে জানাব’।

গোটা ঘটনা নিয়ে শাসক দলকে একহাত নিয়ে শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘এখানে অর্থ একটা মূল কারন। যে যেখন খুশি হয় না তারা তখন প্রতিবাদ করে। যদি অর্থ দিয়ে খুশি করা যায় তাহলে দ্বায়িত্বশীল পদে যারা আছেন তারা চুপ করে থাকেন। এটা নিয়েই রেগুলেটেড মার্কেটের বিল্ডিং বিতর্কের সুত্রপাত। তার দলেরই কাউন্সিলর অভিযোগ করছেন, তাহলে পুরনিগমের বিল্ডিং দফতর কী করছে? আর নিয়ন্ত্রিত বাজারে অবৈধ নির্মানের অভিযোগ পুরোনো। মন্ত্রী, মেয়র সবাই দেখে গিয়েছে। কিন্তু কোন কাজ হয়নি’।

দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

 

.