সিদ্ধি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল মন্দির দালানে! ভোর রাতে পুঁটুলি সমেত ধরা পড়ল চোর
চুরি করার পর মন্দিরে প্রসাদ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : মন্দিরে চুরি করতে এসে ঘুমিয়ে পড়েছিল চোর! ধরা পড়ল সকালে। চুরির পর দিব্যি মন্দিরের প্রসাদও খায় চোর। তারপর একটু জিরিয়ে নিতে ঘুমিয়ে পড়েছিল। আর সেটাই কাল হল। কখন যে ভোর হয়েছে, তা টের পায়নি চোর। চুরি করতে এসে ঘুমিয়ে পড়ায় শেষমেশ ধরা পড়ে গেল চোর বাবাজীবন।
ঘটনাটি পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের ২ নম্বর বাবু খাঁবাড়ের। শীতলা চণ্ডীর মন্দিরে গভীর রাতে চুরি করতে এসেছিল চোর। চুরি করার পর মন্দিরে প্রসাদ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। ভোর রাতে সেই চোরকে হাতেনাতে ধরে ফেলে গ্রামবাসীরা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মত্ত অবস্থায় ছিল চোর। তারউপর রাতে আবার মন্দিরে সিদ্ধিও খেয়ে নেয়। তারপর চুরির পুঁটলি নিয়ে মন্দিরের দালানেই বেহুঁশ হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল।
এদিন ভোর রাতে গ্রামবাসীরা কাজে বেরোনোর সময় দেখতে পায়, মন্দিরের খোলা দালানে একজন শুয়ে আছে। দেখেই চিৎকার জুড়ে দেন স্থানীয়রা। চিৎকারে চোর উঠে পড়ে। বেগতিক বুঝে কোমর থেকে ধারালো অস্ত্র বের করে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে। পালানোর জন্য দৌড়ও দেয়।
আরও পড়ুন, গ্রামের 'ডাক্তার' নাজিবুল্লাই জেএমবি জঙ্গি! আতঙ্কে শিউড়ে উঠছেন গ্রামবাসী
কিন্তু স্থানীয়রা পিছু ধাওয়া করে ধরে ফেলে চোরকে। এরপর মন্দিরের সামনেই হাত-পা বেঁধে চোরকে গণধোলাই দেয় এলাকাবাসী। জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে আরও কয়েকটি মন্দির চুরি করে অভিযুক্ত। তারপর রাত ২টো নাগাদ চণ্ডী মন্দিরে ঢোকে চুরি করতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিস। পুলিসকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।
তাঁদের অভিযোগ, মন্দিরের পাশেই রয়েছে বেআইনি মদের দোকান। সেখানে রোজ রাতে দুষ্কৃতীদের আখড়া জমে। কিন্তু পুলিস কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। শেষমেশ পুলিস ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে, বিক্ষোভ ওঠে। পুলিস জানিয়েছে, চোরের নাম প্রদীপ জানা। বাড়ি পাশের গ্রাম তালুক বৃন্দাবানপুরে। চোরের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে মন্দিরের পিতলের ঘটিবাটি,পঞ্চপ্রদীপ, সোনা-রূপোর গয়না ও বিগ্রহের পরনের শাড়ি।