ঘরে ফেরা হল না, পথেই রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হাওড়ার পরিযায়ী শ্রমিকের
লকডাউনের জেরে প্রায় মাস দুয়েক তিনি মুম্বইতে আটকে পড়েন। এদিকে হাতের টাকাপয়সা সব শেষ হয়ে যাওয়ায় বাড়ি ফেরার জন্য উদগ্রীব হয়ে ওঠেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মুম্বাই থেকে বাড়ি ফেরার পথে পরিযায়ী শ্রমিকের রহস্যজনক মৃত্যু। মৃতের নাম শেখ মইদুল আলি (৩৬)। বাড়ি হাওড়ার জগতবল্লভপুরের বাদুবেলিয়া গ্রামে।
পারিবারিক সূত্রে খবর, পেশায় জরি শিল্পী মইদুল মাস পাঁচেক আগে একটু বাড়তি আয়ের আশায় পাড়ি দিয়েছিলেন মুম্বইয়ের মালাডে । সেখানেই তিনি কাজ করতেন। লকডাউনের জেরে প্রায় মাস দুয়েক তিনি মুম্বইতে আটকে পড়েন। এদিকে হাতের টাকাপয়সা সব শেষ হয়ে যাওয়ায় বাড়ি ফেরার জন্য উদগ্রীব হয়ে ওঠেন।
সোমবার থেকে ৪০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে শুরু হবে ফেরি চলাচল, পরিস্থিতি বুঝে বাড়ানো হবে সংখ্যা
গত ২২মে আরও পাঁচ বন্ধুর সঙ্গে বাসে হাওড়ার দিকে রওনা দেন তিনি। মইদুলের স্ত্রী জানিয়েছেন, গত ২৪মে অর্থাৎ রবিবার তাঁর সঙ্গে ফোনে শেষবার কথা হয়। তিনি জানিয়েছিলেন বাস নাগপুরের কাছে রয়েছে। তারপর বেশ কয়েকবার পরিবারের লোকেরা তাঁকে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাননি।
গত সোমবার ইদের দিনে ঘরে ফেরার কথা থাকলেও তিনি ঘরে ফিরতে পারেননি। এরপর গত ২৭মে বুধবার ঝাড়খণ্ডের রাঁচির কাছে জগন্নাথপুর থানার পুলিস পরিবারের লোককে জানায়, তাঁর দেহ রাস্তার ধার থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। শরীরে একাধিক ক্ষতের চিহ্ন ছিল।
হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো ছবি দেখে তাঁর পরিবারের লোকেরা মইদুলকে শনাক্ত করে। এরপর স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং জগৎবল্লভপুর থানার সহযোগিতায় দেহ আনতে ঝাড়খণ্ডে যান পরিবারের সদস্যরা। শুক্রবার রাতে গ্রামে তাঁর দেহ নিয়ে আসা হয়। জগন্নাথপুর থানা একটি খুনের মামলা শুরু করেছে। তাঁর পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, মইদুলের সঙ্গে উলবেড়িয়ার আরও পাঁচ বন্ধু ফিরছিলেন। তাঁরাও এ ব্যাপারে পরিবারের লোককে কিছু জানাতে অস্বীকার করে। মইদুলের মৃত্যু নিয়ে রহস্য দানা বাঁধছে।