তন্ত্রসাধনার শিকার একরত্তি, নদীর পাড় থেকে উদ্ধার আড়াই বছরের শিশুর দেহ

ছোট্ট কলোনি এলাকা। পাড়া প্রতিবেশীরা সকলেই পরিচিত। এখানেই শনিবার বেলায় খেলে বেড়াচ্ছিল ছোট্ট হামিদ। এগারোটার পর থেকে হঠাত্‍ই উধাও। খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। স্থানীয়দের মনে হয়, হয়তো খেলতে গিয়ে কুয়োয় পড়ে গেছে। 

Updated By: Jun 7, 2020, 04:34 PM IST
তন্ত্রসাধনার শিকার একরত্তি, নদীর পাড় থেকে উদ্ধার আড়াই বছরের শিশুর দেহ

নিজস্ব প্রতিবেদন: কচুরি পানা ঘেরা নদীর পার থেকে উদ্ধার হল একরত্তি শিশুর দেহ। পাশে দুধ-কলা। তন্ত্রসাধনার বলি? নাকি শিশু মৃত্যুর পিছনে লুকিয়ে অন্য রহস্য? ভয় ঘিরে ধরেছে জলপাইগুড়ির ইন্দিরা কলোনিকে। আড়াই বছরের ফুটফুটে হামিদ। খেলতে খেলতে সেই যে হারাল। আর ফেরেনি। সন্ধের পর কচুরিপানা ঘেরা নদীপারে মিলল নিথর ছোট্ট দেহ। আর তা ঘিরেই ধুন্ধুমার জলপাইগুড়ির ইন্দিরা কলোনিতে।

ছোট্ট কলোনি এলাকা। পাড়া প্রতিবেশীরা সকলেই পরিচিত। এখানেই শনিবার বেলায় খেলে বেড়াচ্ছিল ছোট্ট হামিদ। এগারোটার পর থেকে হঠাত্‍ই উধাও। খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। স্থানীয়দের মনে হয়, হয়তো খেলতে গিয়ে কুয়োয় পড়ে গেছে। দমকল এসে কুয়োতে খোঁজ শুরু করে। কিন্তু, একরত্তির দেহ মেলেনি। বিকেল গড়িয়ে সন্ধে। তখনও নিখোঁজ হামিদ। কয়েকজন প্রতিবেশী মনে পড়ে শেষবার এক মহিলার কোলে দেখা গিয়েছিল হামিদকে।

সন্দেহ গাঢ় হয়। নদী পারে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন কলোনির ছেলেরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই একরত্তির দেহ মেলে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তন্ত্রসাধনার জন্যই খুন করা হয়েছে ওই শিশুকে। হামিদের মৃত্যুর খবর চাউর হতেই ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে। 

অভিযুক্তের বাড়িতে চড়াও হয় উত্তেজিত জনতা। চলে ভাঙচুর। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যান ডিএসপি সহ উচ্চপদস্থ পুলিস কর্তারা। নামে র‍্যাফ। দোষীদের খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তির আশ্বাস দেওয়ার পর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। অভিযুক্ত মহিলাকে আটক করা হয়েছে। শিশুর দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। ঘটনার পিছনে সত্যিই তন্ত্র সাধনার যোগ রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিস।

.