সাপের কামড়ে চিকিত্সার বদলে ঝাড়ফুঁক; বাসন্তীর পর গাংনাপুরে কুসংস্কারের বলি ২ শিশু
ফের কুসংস্কারের অন্ধকার। বলি এক আদিবাসী পরিবারের দুই শিশু। অসুস্থ আট মাসের আরেক শিশুও। এঘটনা নদিয়ার গাংনাপুরের হোমানিয়াপোতা এলাকার। সাপের কামড়ে মৃত্যু হল মুন্ডা পরিবারের দুই মেয়ে সীতা ও নমিতার। অসুস্থ তাঁদেরই আট মাসের ভাই।
ওয়েব ডেস্ক : ফের কুসংস্কারের অন্ধকার। বলি এক আদিবাসী পরিবারের দুই শিশু। অসুস্থ আট মাসের আরেক শিশুও। এঘটনা নদিয়ার গাংনাপুরের হোমানিয়াপোতা এলাকার। সাপের কামড়ে মৃত্যু হল মুন্ডা পরিবারের দুই মেয়ে সীতা ও নমিতার। অসুস্থ তাঁদেরই আট মাসের ভাই।
গতরাতে ঘুমন্ত অবস্থাতেই তাদের সাপে কামড়ায়। কোনওভাবে মশারির মধ্যে ঢুকে পড়েছিল সাপটি। অসুস্থ অবস্থায় তাদের প্রথমেই হাসপাতালে না নিয়ে, বদলে এক ওঝার কাছে নিয়ে যান পরিবারের লোকজন। ঝাড়ফুঁক চলে। কিন্তু বাঁচানো যায়নি দুটি মেয়েকে। পরে তাদের রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ডাক্তাররা সীতা ও নমিতাকে মৃত ঘোষণা করেন।
একবিংশ শতাব্দীতেও কুসংস্কারের এমন লজ্জাজনক নজির এসপ্তাহের শুরুতেও দেখা যায়। কলকাতার অদূরে বাসন্তীতে বেঘোরে প্রাণ যায় দুধের শিশুর। জলরাক্ষসের ধুয়ো তুলে, জলে পড়ে যাওয়া বছর দুয়েকের তাজমিরা খাতুনকে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে চলে ঝাড়ফুঁক। জলরাক্ষস তাড়াতে জলেই চলে প্রহার। এমনকি পুকুরে আগুন ধরানোরও চেষ্টা হয়।
জল থেকে তোলার পরই যদি সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে আসা হত, তাহলে হয়ত বাঁচানো যেত তাজমিরাকে। বলেছেন স্থানীয় ডাক্তাররাই। এবারও কলকাতার কাছাকাছিই, নদিয়ার গাংনাপুরের ঘটনা। সাপে কামড়ানো শিশুদের আগে তাড়াতাড়ি নেওয়াই হল না হাসপাতালে!
আরও পড়ুন, রেলে চাকরির নামে আন্তঃরাজ্য প্রতারণা চক্রের পর্দাফাঁস বাগুইআটিতে