নিজে হাতে কাচি চালাতেন সংবাদপত্রের পাতায়, অমিত শাহকে 'হিটলার' বললেন সেই সুব্রত
দেশে একদলীয় শাসন নিয়ে অমিত শাহের মন্তব্যে পালটা কটাক্ষ ছুঁড়ে দিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়? এমনকী তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা নিয়েও প্রশ্ন তুলেলন বর্ষীয়ান এই নেতা। সুব্রতর প্রশ্ন, এটা চিন না কি?
নিজস্ব প্রতিবেদন: দেশে একদলীয় শাসন নিয়ে অমিত শাহের মন্তব্যে পালটা কটাক্ষ ছুঁড়ে দিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়? এমনকী তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা নিয়েও প্রশ্ন তুলেলন বর্ষীয়ান এই নেতা। সুব্রতর প্রশ্ন, এটা চিন না কি?
সম্প্রতি এক আলোচনাসভায় দেশে এক দলীয় শাসনব্যবস্থার দাবি উঠছে বলে মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, বহুদলীয় শাসনব্যবস্থা ৭০ বছরে দেশকে তার লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারেনি। এর পরই বিজেপি দেশে একদলীয় শাসন চালুর পরিকল্পনা করছে বলে জল্পনা ছড়ায়। বুধবার এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, 'এটা কি চিন? যে একদলীয় শাসন চালু করবে। শাহ তো রাজনীতির লোক নয়। অরাজনৈতিক লোকের কথায় কী আর বলব? এটা কি হিটলারি ব্যবস্থা? 'এক দেশ, এক ভাষা'-র পর 'এক দেশ, এক দল'-এর ওকালতি করছেন অমিত শাহ।'
NRC নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সামনে কেন নীরব মমতা? প্রশ্ন বিরোধীদের
তবে সুব্রতবাবুর এই মন্তব্য নিয়ে জানিয়েছে বিজেপি। দলের তরফে জানানো হয়েছে, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না। জরুরি অবস্থার সময় সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের মন্ত্রিসভায় তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। জরুরি অবস্থা জারির মাধ্যমে জনসাধারণের মৌলিক অধিকার হরণ তো বটেই, গোটা দেশের মতো কলকাতাতেও একের পর এক সাংবাদিককে জেলে ভরেছিল সেই সরকার। মহাকরণে বসে কলকাতা থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্র কাচি চালাতেন তৎকালীন তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় নিজে। বহুমতের স্বীকৃতি নিয়ে তাঁর মুখে কোনও কথা মানায় না।