৪ দিন আগে ব্যাঙ্কে যাওয়ার নাম করে বেরোয় কিশোরী, তারপরই...
থানা, পুলিস করেও এখনও মেয়ের খোঁজ পাননি বাবা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ব্যাঙ্কে যাবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল কিশোরী। কিন্তু আর বাড়ি ফিরে আসেনি। পথেই তিন প্রতিবেশী তাকে অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ। থানা, পুলিস করেও এখনও মেয়ের খোঁজ পাননি বাবা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
চার দিন আগে মহেশতলার চণ্ডীগড় মালপাড়ার বাসিন্দা বলরাম মালের ছোটো মেয়ে বাড়ির অদূরেই ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে গিয়েছিল। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় তার খোঁজ শুরু হয়। প্রতিবেশীরা জানান, রাস্তায় তাকে প্রতিবেশী বছর পঁয়তাল্লিশের নবকুমার দলুই, গুণধর দলুই ও সঞ্জয় দলুইয়ের সঙ্গে কথা বলতে দেখেছেন অনেকে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, কিশোরীকে বুঝিয়ে কোথাও নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল তারা। এরপর কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে খবর দেন তারা।
মেয়ের খোঁজ না পেয়ে মহেশতলা থানার কালীতলা ফাঁড়িতে তিন জনের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। এরমধ্যে মূল অভিযুক্ত নবকুমার দলুইয়ের বাড়িতেও চড়াও হন গ্রামবাসীরা। কিন্তু তার পরিবারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, নবকুমার আর এই বাড়িতে থাকে না, সে শ্বশুরবাড়িতে থাকে। সেখানে গিয়েও তার খোঁজ মেলেনি।
ফের প্রশ্নের মুখে রেলের নিরাপত্তা, চলন্ত ট্রেনেই মহিলা যাত্রীর সোনা-টাকা লুঠ
চার দিন পেরিয়ে গেলেও মেয়ের খোঁজ না পাওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার। রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করে দিন গুজরান করেন বলরাম মাল। তিন ছেলেমেয়ের মধ্যে এই মেয়ে ছিল ছোট। আর্থিক অভাবেই উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর তাকে আর কলেজে পাঠাতে পারেননি তিনি। বাড়িতেই থাকত সে। মোবাইলও ছিল না তার। সুতরাং প্রেম বা অন্য কোনও সম্পর্ক তার নিখোঁজ হওয়ার পিছনে নেই বলেই দাবি করছে পরিবার। মেয়ের খোঁজ না পেয়ে দিশেহারা মাল পরিবার। প্রশাসনের কাছে সঠিক তদন্তের দাবি করছেন তাঁরা।