SSC Scam: এসএসসি গ্রুপ সি-র চাকরি বাতিলের তালিকায় নাম তৃণমূল বিধায়কের ভাইয়ের
গ্রুপ সি-র যাদের চাকরি বাতিলের তালিকা প্রকাশ হয়েছে তাতে রয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর দোলন বিশ্বাস। লিস্টে তাঁর নাম রয়েছে ২১৮ নম্বরে
সৌরভ চৌধুরী ও মনোজ মণ্ডল: স্কুলে ভুয়ো গ্রুপ ডি কর্মী বাতিলের তালিকা প্রকাশের পর এবার গ্রুপ সি কর্মীদের বাতিলের তালিকা প্রকাশ করেছে পর্ষদ। সেই তালিকায় রয়েছে শালবনির বিধায়ক মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোর ভাই মানিক মাহাতর নাম। এনিয়ে নিয়ে ফের শাসকদলের উপর আঙুল তুলছে বিরোধী শিবির।
আরও পড়ুন-এবার তেজস্বী যাদবকে তলব! জমি-দুর্নীতি মামলায় তাঁকে ডেকে পাঠাল সিবিআই...
প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী জেলে। তার পর থেকেই একের পর এক যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে তাতে পার্থ ঘনিষ্ট একাধিক তৃণমুল নেতাদের পরিবারের সদসস্যদের নাম সামনে এসেছে। এবার সেই তালিকায় উঠে এল শালবনির বিধায়ক তথা মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোর ভাইয়ের নাম। যে স্কুলে তিনি চাকরি করতেন সেই স্কুলের টিচার ইনচার্জ জানান, গতকাল থেকে তিনি স্কুলে আসেননি।
শ্রীকান্ত মাহাতো ফোনে জানান, যদি কেউ দোষ করে তাহলে তার শাস্তি হবে। চাকরির ক্ষেত্রে কোনও বেআইনি কার্জকর্ম হওয়া উচিত নয়। কোনও জায়গায় কোনেও ত্রুটি থাকলে তা সংশোধন করা উচিত। তিনি যত প্রভাবশালীই হোক না কেন।
অন্যদিকে, প্রার্থী মানিক মাহাতো ফোনে জানান তিনি পরীক্ষা দিয়েই এই চাকরির ডাক পেয়েছিলেন। কিন্তু তার নাম কেন লিষ্টে আছে তিনি জানেন না।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফুলচাঁদ সরেন বলেন, এরকম কোনও খবর আমার কাছে নেই। কে কীভাবে চাকরি পেয়েছেন তা বলার এক্তিয়ার আমার নেই। উনি এখানে ক্লার্ক হিসেবে কর্মরত ছিল। উনি যে সময় এই স্কুলে জয়েন করেছিলেন সেই সময় যিনি প্রধান শিক্ষক ছিলেন তিনি সবকিছু বলতে পারবেন।
এলাকার বিজেপি নেতা সুশীল কুমার মাহাতো বলেন, এই সরকার আসার পর থেকে যেভাবে সব ক্ষেত্রে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে তারই একটা নমুনা মাত্র। আরও অনেক নেতা মন্ত্রীর ভাই, ভাইপো, আত্মীয়রা জড়াবে। এই সরকারের যা অবস্থা তাদের এদের ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার নেই।
অন্যদিকে, গ্রুপ সি-র যাদের চাকরি বাতিলের তালিকা প্রকাশ হয়েছে তাতে রয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর দোলন বিশ্বাস। লিস্টে তাঁর নাম রয়েছে ২১৮ নম্বরে। অভিযোগ, ওএমআর শিট কারচুপি করে স্কুলের গ্রুপ 'সি'-পদের চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, যখন তিনি এসএসসি-র গ্রুপ সি পদের চাকরি পেয়েছিলেন তখন কাউন্সিলর পদেও ছিলেন তৃণমূলের ডাকাবুকো নেত্রী দোলন বিশ্বাস। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে কার সুপারিশে চাকরি পেলেন তিনি! নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার? নাকি তাঁর নিয়োগের পিছনে বড় কোনও মাথার হাত রয়েছে? তা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলার সদর শহর বারাসতে। বিতর্কের জেরে তৃণমূলের এই প্রাক্তন কাউন্সিলরের চাকরি যাওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল হয়েছে। দোলন বিশ্বাস এর পরিবারের দাবি, তিনি যোগ্য। পড়াশোনায় ভালো। যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি পেয়েছেন। কোনও সুপারিশ বা টাকার বিনিময়ে চাকরি পাননি। যা নিয়ে বারাসাতের পৌরসভা চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন তিনি কোন পৌরসভার কর্মী নন ফলে কী হয়েছে তিনি বলতে পারবেন না।