SSC Scam: ভাই বিজেপি করে তাই এমন যড়যন্ত্র, সাফাই 'ভুয়ো তালিকা'-য় থাকা শিক্ষকের
২০১৯ সালের ১২ জুন ওদলাবাড়ি উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বাংলার শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। শীতের ছুটির পর পুরোদমে পঠনপাঠন চালু না হলেও পুনরায় বিদ্যালয় খুলতেই মঙ্গলবারও যথারীতি ওই শিক্ষক স্কুলে এসে ছাত্রদের ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় কাজ করেছেন
অরূপ বসাক: শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়াল মাল ব্লকের ওদলাবাড়ি উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বাংলার শিক্ষকের। সোশ্য়াল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে ভুয়ো শিক্ষকদের একটি তালিকা। সেখানেই ওই শিক্ষকের নাম রয়েছে। রয়েছে তাঁর ওএমআর শিটটিও। তবে গোটা বিষয়টিকে রাজনৈতিক চক্রান্ত বলে দাবি করছেন অভিযুক্ত শিক্ষক সৌরভ সাম।
আরও পড়ুন- ভারত জোড়ো যাত্রায় সুরক্ষা ভাঙছেন রাহুল! নয়া বিতর্কে কংগ্রেসের জনসংযোগ কর্মসূচি
বর্ধমানের বাসিন্দা সৌরভ সাম ২০১৯ সালের ১২ জুন ওদলাবাড়ি উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বাংলার শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। শীতের ছুটির পর পুরোদমে পঠনপাঠন চালু না হলেও পুনরায় বিদ্যালয় খুলতেই মঙ্গলবারও যথারীতি ওই শিক্ষক স্কুলে এসে ছাত্রদের ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় কাজ করেছেন।
এদিকে, গত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ওএমআর শিটে ওই শিক্ষক এবং ওদলাবাড়ি উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নাম থাকায় স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে কৌতূহলী বিভিন্ন মহল। বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সৌরভ সাম বলেন,"এটা একটা রাজনৈতিক চক্রান্ত। বর্ধমান জেলায় আমার ভাই বিজেপির একটি পদে রয়েছে। সেই হিসেবে যারা ওকে সহ্য করতে পারে না তারা হয়তো এসব করছে। আমার নাম বিভিন্ন জায়গায় খবর হচ্ছে।" তিনি আরও বলেন,"সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ওএমআর শিটের স্ক্যান কপিতে যা দেখা যাচ্ছে তার সঙ্গে আমার পরীক্ষা দেওয়া (২০১৬) ওএমআর সিটের উত্তরপত্র খানিকটা মিলছে এবং খানিকটা মিলছে না। কমিশনের ওয়েব সাইটে দেওয়া ওএমআর সিট ও অরিজিনাল ওএমআর সিটেরমিলিয়ে দেখব। এর জন্য যা আইন লড়াই করার তা করব। আমি অরিজিনাল কপি দেখার অপেক্ষায় রয়েছি। আমার মনে কোনও ভয় বা সংশয় নেই। এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনও নির্দেশ আমার কাছে আসেনি। নির্দেশ আসার পর পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করব।"
অন্যদিকে, এনিয়ে ওদলাবাড়ি উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের টিচার ইন চার্জ নিরুমোহন রায় বলেন, ছেলেমেয়েদের পড়ানো থেকে শুরু করে বিদ্যালয়ের প্রতিটি কাজে সৌরভ সাম প্রচন্ড উৎসাহী। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এমন একটি বিষয় আমারও নজরে এসেছে। যদিও এখনও অব্দি, শিক্ষাদফতর বা স্কুল ইন্সপেক্টরের অফিস থেকে আমার কাছে কোনও নির্দেশ আসেনি। তেমন কিছু আসার পর নির্দেশিকা মেনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।