Kaushiki Amavasya 2023: কৌশিকী অমাবস্যায় মহাযজ্ঞের আয়োজন যোগমায়া কালীমন্দিরে...
Kaushiki Amavasya 2023: মাকে এদিন পনির-সহ পঞ্চব্যঞ্জন দিয়ে ভোগ দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে পায়েস। মায়ের আশীর্বাদ নিতে সকাল থেকেই মন্দিরপ্রাঙ্গণে ভিড় রয়েছে ভক্তদের।
প্রদ্যুৎ দাস: কৌশিকী অমাবস্যার পুজো উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার মহাযজ্ঞের আয়োজন করা হল জলপাইগুড়ি যোগমায়া কালী মন্দিরে। মাকে এদিন পনির-সহ পঞ্চব্যঞ্জন দিয়ে ভোগ দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে পায়েস। মায়ের আশীর্বাদ নিতে সকাল থেকেই মন্দিরপ্রাঙ্গণে ভিড় রয়েছে ভক্তদের।
বছরের অন্যতম এবং ভাদ্র মাসের এই অমাবস্যা তিথি অতি বিশিষ্ট। এই দিনে প্রতি বছরই বেশ ঘটা করে পুজোর আয়োজন করা হয় জলপাইগুড়ির যোগমায়া কালী মন্দিরে। যজ্ঞানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালন করা হয় কৌশিকী অমাবস্যা। দেবী তারা মায়ের আবির্ভাব দিবস হিসেবে মহা ধুমধাম ও সমারোহে দিনটি পালন করা হয় যোগমায়া কালীবাড়িতে। যজ্ঞানুষ্ঠানে এদিন অংশগ্রহণ করেন শহরের শতাধিক ভক্তগণ।
অতি মাহাত্ম্যপূর্ণ অমাবস্যা কৌশিকী অমাবস্যার তিথি পড়ে গিয়েছে, ঘণ্টাখানেক হল। এই তিথি শেষ হবে পরদিন ১৫ সেপ্টেম্বরে। কৌশিকী অমাবস্যার বিশেষ তাৎপর্য, বিশেষ মাহাত্ম্য। এমন যে, সাধারণ মানুষ তো বটেই এই তিথিটির জন্য অপেক্ষায় থাকেন সাধকেরাও। কেন এ তিথির এত মাহাত্ম্য? দিনটির পশ্চাতে যে পুরাণ কাহিনি রয়েছে, সেটাও বিষয়টি অনেকটা ব্যাখ্যা করে দেয়। একদিন দৈত্যপীড়িত দেবতারা কৈলাসে শিবের কাছে এসে তাঁদের উপর অসুরদের অত্যাচারের বিহিত চাইলেন। শিব তখন দেবতাদের রক্ষার মানসে দেবতাদের সামনেই পার্বতীকে ডেকে বলেন, 'কালিকা, তুমিই ওঁদের উদ্ধার করো।' দেবতার সামনে পার্বতীকে 'কালী' বলে ডাকায় দেবী ক্ষুব্ধ হলেন। রেগেও গেলেন।
দেবী তাঁর গাত্রবর্ণ পরিবর্তনের লক্ষ্যে তখন মানস সরোবরের ধারে কঠিন তপস্যায় বসলেন। তপস্যাশেষে মানস সরোবরের জলে স্নান করলেন দেবী। স্নানের পরে তাঁর ত্বকের সব কালো-কোষ খসে গেল। পূর্ণিমাচাঁদের মতো গাত্রবর্ণ ধারণ করলেন তিনি। তাঁর পরিত্যাগ করা কালো কোষগুলি থেকে অপূর্ব সুন্দরী কৃষ্ণবর্ণা এক দেবীর সৃষ্টি হল। সেই দেবীই কৌশিকী। যেদিন কালো দেহকোষ থেকে কৃষ্ণবর্ণা দেবীর সৃষ্টি, সেদিনটিই কৌশিকী অমাবস্যা।
আরও পড়ুন: কৌশিকী অমাবস্যা! দিনে ৪ বার বস্ত্রালঙ্কার বদল, ভোগে পোলাও-পায়েস-মিষ্টি...
কথিত আছে, এদিন দেবী শুম্ভ ও নিশুম্ভকে বধ করেন। আবার এই দিনেই দশমহাবিদ্যার অন্যতমা দেবী তারা মর্ত্যধামে আবির্ভূতা হন। এদিন তাই বীরভূমের তারাপীঠে মা তারার বিশাল পুজো ও উৎসব হয়। তন্ত্রে কৌশিকী অমাবস্যার রাতকে 'তারা রাত্রি' বলা হয়৷ বলা হয়, এদিন রাতে এক বিশেষ মুহূর্তে স্বর্গ ও নরক উভয়ের দরজাই কিছুক্ষণের নাকি খুলে যায়। আর সাধক তাঁর ইচ্ছেমতো বিশেষ শক্তিসাধনার মাধ্যমে সিদ্ধিলাভ করেন ও বাঞ্ছিত ধামে চলে যান।