Suvendu মীরজাফরদের দলে নাম লেখাল, Mamata না গেলে নন্দীগ্রাম প্রচারে আসত না: Sougata

নন্দীগ্রাম আন্দোলনের কৃতিত্বও শুভেন্দু অধিকারীর নয় বলে দাবি করলেন সৌগত রায়। 

Updated By: Dec 23, 2020, 06:01 PM IST
Suvendu মীরজাফরদের দলে নাম লেখাল, Mamata না গেলে নন্দীগ্রাম প্রচারে আসত না: Sougata

নিজস্ব প্রতিবেদন: অধিকারী গড়ে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুকে 'মীরজাফর' খোঁচায় বিঁধলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Roy)। তাঁর কথায়, মুখে গান্ধীবাদী সতীশ সামন্তর কথা বলে, সেই সব সুবিধাবাদীরা নাথুরাম গডসের দলে যোগদান করছেন। এটা মেদিনীপুরের মানুষ ভুলবেন না। সতীশ সামন্তর নামে জয়গান গাইছে, তাঁরাই আবার শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের পার্টিতে যোগ দিচ্ছেন। হিন্দুত্ববাদী শক্তির সঙ্গে যাঁরা হাত মেলান, তাঁদের মেদিনীপুরের মাটিতে জায়গা থাকতে পারে না।'

বুধবার কাঁথিতে মিছিল করে তৃণমূল কংগ্রেস। নেতৃত্বে ছিলেন সৌগত রায় (Sougata Roy) ও ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। এই মিছিলে অধিকারীর পরিবারের কেউ ছিলেন না। শারীরিক অসুস্থতার কারণে কর্মসূচিতে থাকতে পারবেন না বলে আগেই জানিয়েছিলেন শিশির অধিকারী। মিছিলের পর জনসভায় শুভেন্দুকে 'বিশ্বাসঘাতক' বলে নিশানা করেন সৌগত। তাঁর কথায়,'এই লড়াইটা বাংলার অস্মিতা ও আত্মসম্মানের। কাঁথির একজন সুপুত্র নাম লেখালেন বাংলার বিশ্বাসঘাতকের সঙ্গে। সিরাজদৌল্লা হেরে গিয়েছিলেন। বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব হিসেবে তাঁকে মনে রেখেছে বাংলার মানুষ। উমিচাঁদ. জগৎশেঠ ও মীরজাফরদের কোনও ঠাঁই নেই। শ্রীমান শুভেন্দু মীরজাফরদের দলে নাম লেখাল।' 

নন্দীগ্রাম আন্দোলনের কৃতিত্বও শুভেন্দু অধিকারীর নয় বলে দাবি করলেন সৌগত রায়। বরং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই প্রচারে এসেছিল নন্দীগ্রাম। তাঁর বক্তব্য,'আমার মনে আছে, নন্দীগ্রামে গুলি চলল সম্ভবত ১৪ মার্চ, ২০০৭। সে দিন বিধানসভা চলছিল। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলল, দাদা নন্দীগ্রামে গুলি চলেছে। আমরা গেলাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে। উনি বললেন যাব। ১৪ মার্চ রওনা হলেন। রাস্তায় আটকাল সিপিএমের লোকেরা। সারারাত গাড়িতে থাকলেন। সকালে নন্দীগ্রামে হাসপাতালে পৌঁছলেন মমতা। নন্দীগ্রামে তিনি না গেলে সারা ভারতের শিরোনামে আসত না। মমতা নেতৃত্ব না দিলে সিপিএম হঠে যেত না। সুফিয়ানের মতো নেতারা করেছেন নন্দীগ্রামের আন্দোলন। কোনও সরস্বতীর বরপুত্র সুন্দর চেহারা নিয়ে এগিয়ে যায়নি।'

 

.