ভুয়ো ভ্যাকসিন কেন্দ্রে টিকাকরণের পর এসেছে SMS, যুক্ত আরও অনেকে, অনুমান পুলিসের

টিকাপ্রাপক হিসেবে ছদ্মবেশে পুলিস প্রবেশ করেন ভুয়ো টিকাকরণ কেন্দ্রে। 

Updated By: Jul 25, 2021, 09:20 AM IST
ভুয়ো ভ্যাকসিন কেন্দ্রে টিকাকরণের পর এসেছে SMS, যুক্ত আরও অনেকে, অনুমান পুলিসের

নিজস্ব প্রতিবেদন: সোনারপুর ভুয়ো টিকাকরণে যুক্ত আরও অনেকে, অনুমান পুলিসের। অভিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মী সরকারি দফতর থেকে টিকা চুরি করেন। সেই টিকা টকার বিনিময়ে দিয়েছেন সোনারপুরের একাধিক জায়গায়। যা নিয়ে রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ঘটনায় গ্রেফতার হয় মিঠুন মন্ডল নামে স্বাস্থ্য দফতরের কর্মী। বিরাট অঙ্কের টাকার লেনেদেন হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয় তদন্তকারী পুলিস আধিকারিকরা। গতকাল দীর্ঘক্ষণ বারুইপুরের এসপি কথা বলেন সোনার পুরের তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে। জেরা করেন কর্মী মিঠুন মন্ডলকে। 

অর্থের বিনিময়ে সরকারি টিকা বিক্রির চক্রে আরও অনেকেই জড়িত বলে মনে অনুমান বারুইপুরের জেলা পুলিসের। টিকাপ্রাপক হিসেবে ছদ্মবেশে পুলিস প্রবেশ করেন ভুয়ো টিকাকরণ কেন্দ্রে। তিনি রাজি হন টাকার বিনিময়ে ভ্যাকসিন নিতে। এরপরই সেখানে হানা দেয় পুলিস। যিনি টাকার বিনিময়ে ভ্যাকসিন দিতে চেয়েছিলেন তার কাছ থেকে দুটো কোভিশিল্ডের ভায়াল পাওয়া যায়।  আপাতত দৃষ্টিতে দেখে আসল মনে হচ্ছে। টেস্টিং করার পরই নিশ্চিতভাবে বলা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিস। 

জামাকাপড়ের দোকানের লোকদের মারফত স্থানীয়দের কাছে ভ্যাকসিন দেওয়ার খবর পাঠানো হত, এমনই তথ্য উঠে এসেছে তদন্তকারীদের হাতে। অবাককাণ্ড! যাঁরা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাঁরা সার্টিফিকেটও পেয়েছেন। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। কীভাবে রেজিস্ট্রেশন? কীভাবে সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হল? আর এই ভ্যাকসিন কীভাবে জোগাড় করলেন মিঠুন মণ্ডল? 

এই গোটা কাজটি একার পক্ষে করা কখনই সম্ভব নয় বলে মনে করছে পুলিস। প্রমোদ নামে আর এক জনের নাম উঠে আসছে। সেও এখন তদন্তকারীদের স্ক্যানারে। জানা গিয়েছে, দোকানে গিয়ে প্রথম আলাপ জমায় মিঠুন। তারপর টিকাকরণের ব্যবস্থা পাকা করেন।  ডায়মণ্ডহারবারের গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কাজ করতেন মিঠুন। 

.