কঙ্কালের সঙ্গে 'সহ-বাস'! বাড়ির ভিতর উদ্ধার একাধিক খুলি, হাড়গোড়, শিলিগুড়িতে হাড়হিম করা ঘটনা

কোথা থেকে কীভাবে বাড়ির ভিতর এই খুলি, হাড়গোড় এল? এই দেহাংশ কার?

Edited By: সুদেষ্ণা পাল | Updated By: Jul 29, 2020, 05:17 PM IST
কঙ্কালের সঙ্গে 'সহ-বাস'! বাড়ির ভিতর উদ্ধার একাধিক খুলি, হাড়গোড়, শিলিগুড়িতে হাড়হিম করা ঘটনা
নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন : বাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হল মাথার খুলি, মানুষের হাড়! এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিলিগুড়ির সুভাষপল্লিতে। বাড়ির চাল থেকে উদ্ধার হয়েছে ২টো মাথার খুলি। আর বাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছে মানুষের হাড়গোড়। কোথা থেকে এল এই মানুষের মাথার খুলি, হাড়গোড়? দানা বেঁধেছে রহস্য। এঘটনা একদিকে যেমন উসকে দিয়েছে ২০১৫ সালে কলকাতার রবিনসন স্ট্রিটের পার্থ দে-র ঘটনার কথা। তেমনই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না তন্ত্র সাধনার প্রসঙ্গও।

জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ির সুভাষপল্লির ওই বাড়র বাসিন্দা ছিলেন খোকা চক্রবর্তী ও তাঁর স্ত্রী। বছর ১৫ আগে তাঁদের মৃত্যু হয়। ওই একই বাড়িতে বাবা, মায়ের সঙ্গে থাকতেন তাঁদের ভাগ্নে ভিক্টর চক্রবর্তী। ভিক্টর পেশায় বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী। এলাকাবাসীর বক্তব্য, বেশ কিছুদিন আগে ভিক্টরের বাবা-মায়েরও মৃত্যু হয়। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ভিক্টর। এরপরই এদিন বাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হল খুলি, হাড়গোড়। শুরু হয়ে যায় জোর জল্পনা।  

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বাড়ির ভিতর থেকে খুব দুর্গন্ধ বেরতে শুরু করে। তখনই খবর দেওয়া হয় এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর নিখিল সাহানিকে। এরপরই আজ বাড়ি পরিষ্কার করতে আসেন কর্পোরেশনের সাফাইকর্মীরা। তাঁরাই বাড়ির চালের উপর মানুষের মাথার খুলি ও ভিতর থেকে হাড়গোড় উদ্ধার করেন। এপ্রসঙ্গে নিখিল সাহানি জানিয়েছেন, "মঙ্গলবার এলাকাবাসী জানায়, এলাকা থেকে খুব দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। আজ আমি তাই লোক পাঠাই পরিষ্কার করার জন্য। তাঁরাই আমাকে খবর দিয়ে গোটা ঘটনা জানান। পুলিস তদন্ত করছে গোটা ঘটনার।"

এই ঘটনায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। কোথা থেকে কীভাবে বাড়ির ভিতর এই খুলি, হাড়গোড় এল? উঠছে প্রশ্ন। মামা-মামীর মৃত্যু হয়েছে বহু বছর আগেই। বাবা, মায়ের মৃত্যু পরেও শ্মশানে দেহ দাহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে? দানা বেঁধেছে রহস্য। পুলিস সূত্রে খবর, প্রাথমিক তদন্তের পর তদন্তকারী অফিসাররা মনে করছেন ভিক্টর সম্ভবত তন্ত্র সাধনা করতেন। কিন্তু তাহলেও প্রশ্ন উঠছে এই দেহাংশ কার?

এদিকে ঘটনার পর থেকেই পলাতক ভিক্টর চক্রবর্তী। উদ্ধার হওয়া খুলি, হাড়গোড় নিয়ে গিয়েছে পুলিস। শুরু হয়েছে পলাতক ভিক্টর চক্রবর্তীর খোঁজ। এলাকাবাসীর বক্তব্য, মা-বাবার মৃত্যুর পর থেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে ভিক্টর। বাড়িতেও সেভাবে আসে না। ইদানিং পাড়ার লোকদের নজরেও খুব একটা আসেননি।

আরও পড়ুন, স্ত্রী-সন্তান থাকতেও মন্দিরে লুকিয়ে বিয়ে, ৯ মাস পর দ্বিতীয় স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুন শিক্ষক স্বামীর

.