প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা আটকে, সমস্যা আধারকার্ডেও! কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পথে নামছে তৃণমূল
''শাসক, বিরোধী ও বাগান মালিক পক্ষের প্রতিনিধিরা রয়েছে৷ ইতিমধ্যেই তারা ১৮ টি মিটিং করেছেন। কিন্তু নূন্যতম মজুরি নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না৷ কাজেই তারা যখনই সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার ২৪ ঘন্টার মধ্যে সেই কাজ করে দেবে। চা সম্পর্কিত আইন কেন্দ্রীয় আইন। বন্ধ বাগানের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র। তারা ধোকাবাজি করছে।''
নারায়ণ সিংহ রায়: পিএফ ও আধারকার্ডের সমস্যাকে কেন্দ্র করে এবার আন্দোলনের পথে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ির স্টেট গেস্ট হাউজে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের শ্রম ও আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক। সেখানে উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব ও তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির সভাপতি ঋতব্রত বন্ধোপাধ্যায়। এদিন মন্ত্রী জানান, "উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সের চা বাগানের সমস্যা নিয়ে জনসভা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সভা থেকেই ঘোষণা করেন চা শ্রমিকদের পরিচয় পত্র, হেলথ সেন্টার ও ক্রেস তৈরি করা হবে। সেই মোতাবেক ইতিমধ্যেই পরিচয় পত্র দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। চা সুন্দরী প্রকল্পের আওতায় চা শ্রমিকদের বাড়ি তৈরির কাজ ডুয়ার্সের বিভিন্ন বাগানে চলছে। অন্যদিকে হেলথ সেন্টার ও ক্রেশ তৈরির টেন্ডার পক্রিয়া চলছে। কাজেই খুব শীঘ্রই চা শ্রমিকরা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পেতে চলেছেন৷ পাশাপাশি পানীয় জলের কাজ শুরু হয়েছে৷"
আরও পড়ুন, প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছে মেয়ে, ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়ে আত্মঘাতী বান্ধবী
অন্যদিকে চা কর্মীদের নূন্যতম মজুরি নিয়ে মলয় ঘটক জানান, "চা বাগান আইন পুরোটাই কেন্দ্রের অধীন৷ রাজ্যের হাতে যতটুকু ক্ষমতা রয়েছে তা দিয়ে রাজ্য সরকার কাজ করছে। তবে নূন্যতম মজুরি নিয়ে যে বিরোধীরা আওয়াজ তোলেন তাদেরকে নিয়েই কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ কমিটিতে শাসক, বিরোধী ও বাগান মালিক পক্ষের প্রতিনিধিরা রয়েছে৷ ইতিমধ্যেই তারা ১৮ টি মিটিং করেছেন। কিন্তু নূন্যতম মজুরি নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না৷ কাজেই তারা যখনই সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার ২৪ ঘন্টার মধ্যে সেই কাজ করে দেবে। চা সম্পর্কিত আইন কেন্দ্রীয় আইন। বন্ধ বাগানের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র। তারা ধোকাবাজি করছে। ভোটের আগে বাগান অধিগ্রহণের কথা বলেন। কিন্তু তারপর কোন খবর নেই। ১০০০ কোটি টাকা বাংলা বা অসমে কোথাও পৌঁছায়নি৷ কয়েক হাজার কোটি টাকার পিএফের টাকা আটকে গিয়েছে।"
এই ইস্যুতেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনে রাস্তায় নামতে চলেছে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন। আলিপুরদুয়ার থেকে জলপাইগুড়ির বিভিন্ন বাগানের শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে বিরাট আন্দোলন সংগঠিত হবে বলে দাবি মন্ত্রীর। মূলত পিএফ এবং আধারকার্ডের সমস্যা নিয়েই রাস্তায় নামবে শ্রমিক সংগঠন। এ বিষয়ে আইএনটিটিইউসির সভাপতি ঋতব্রত জানান, "৯ ডিসেম্বর থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে প্রাথমিক পর্যায়ের আন্দোলন। একদিকে আলিপুরদুয়ার থেকে শুরু হবে অন্যদিকে একই দিনে জলপাইগুড়ি থেকে শুরু হবে আন্দোলন। ৯ ডিসেম্বর আলিপুরদুয়ারের শঙ্কোস থেকে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবেন শ্রম ও আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক।
আরও পড়ুন, West bengal: জঙ্গি সন্দেহে অভিযুক্ত বাংলাদেশি যুবকের রহস্য মৃত্যু
অন্যদিকে, ৯ তারিখ এলেন বাড়ি থেকে ডামডিম পর্যন্ত প্রথম দিনের কর্মসূচি। দুটি দল মাদারিহাট, বীরপাড়া, মালবাজার, চালসা, বানারহাট-সহ বিভিন্ন চা বাগান এলাকা ঘুরে গয়েরকাটায় মিলিত হবে৷ ১৩ তারিখ জলপাইগুড়ি সদরে পিএফ অফিসের সামনে বিক্ষোভ আন্দোলন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে৷ ডিসেম্বরের ১৩ তারিখের পর দার্জিলিংয়ের পাহাড় ও সমতলের কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।"