Shyampur Murder: সন্তানদের দায়িত্ব নিতে হবে না; স্বামীর খুনিদের শাস্তি চাই, দাবি শ্যামপুরে নিহতের স্ত্রীর
নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা সুদেষ্ণা রায় বলেন যারা ওই ইভ টিজিংয়ের সঙ্গে যারা জড়িত তারা আগেও ওই কাণ্ড করেছে। এরা যা চাইছেন তা যেন হয় তা দেখব। এদের ক্ষতিপূরণ, মেয়ে দুটির কন্যাশ্রী অবশ্যই দেওয়া হবে
শুভাশিস মণ্ডল: হাওড়ার শ্য়ামপুরে মেয়ের সম্ভ্রম বাঁচাতে গিয়ে মৃত্য়ু হয়েছে এক ব্য়ক্তির। এনিয়ে গতকাল শ্যামপুর থানা তোড়পাড় করে বিজেপি। কিন্তু নিহতের স্ত্রী জানিয়ে দেন রাজনীতি চাই না। স্বামীর খুনিদের শাস্তি চাই। বৃহস্পতিবার শ্যামপুরে নিহত ব্যক্তির বাড়ি যান রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায়। তাঁকে নিহতের স্ত্রী জানান আমার ছেলে মেয়ের দায়িত্ব কাউকে নিতে হবে না। দোষীরা যেন শাস্তি পায়।
আরও পড়ুন-বিয়েরবাড়ির আনন্দ মুহূর্তেই শেষ, প্রবল ধাক্কায় গাড়ির সঙ্গে তালগোল পাকিয়ে গেল ২ কিশোরের
এদিন শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন নিহতের পারিবারের সঙ্গে দেখা করেন। তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি ওই ছাত্রী যাতে কন্যাশ্রী-সহ অন্য়ান্য সুযোগ সুবিধে পান তা দেখার আশ্বাস দেন। পুলিসকেও বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে যাতে দেখে তার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি যাতে দোষীরা ছাড়া না পায় তাও দেখার কথা বলেন।
এদিকে, শিশু সুরক্ষা কমিশনের উদ্দেশ্যে মৃতের স্ত্রী বলেন, আমার কোনও সাহায্য চাই না। কাউকে আমার ছেলে মেয়ের দায়িত্বও নিতে হবে না। স্বামীকে যারা মেরেছে সেইসব দুষ্কৃতীদের যেন কঠোরতম সাজা হয়। আমার আরও দুই ছেলে মেয়ে রয়েছে। ভবিষ্যতে তাদের নিরাপত্তার বিষয়টিও দেখতে হবে। শুধু আশ্বাস দিলেই হবে না। কাজ করে দেখাতে হবে।
নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা সুদেষ্ণা রায় বলেন যারা ওই ইভ টিজিংয়ের সঙ্গে যারা জড়িত তারা আগেও ওই কাণ্ড করেছে। এরা যা চাইছেন তা যেন হয় তা দেখব। এদের ক্ষতিপূরণ, মেয়ে দুটির কন্যাশ্রী অবশ্যই দেওয়া হবে। যারা ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের শাস্তি যাতে তার জন্য সুপারিশ করব। পুলিস সব জেনেছে। বেআইনি ঠেকগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার। সন্ধ্যায় কোচিং সেন্টার থেকে সাইকেলে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন হাওড়ার শ্য়ামপুরের দশম শ্রেণির এক ছাত্রী। অভিযোগ, তার পথ আটকায় পাড়ার ৩ যুবক। কেন? ওই ছাত্রীকে নাকি কটুক্তি করছিলেন তাঁরা! তারপর? খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন ওই ছাত্রীর বাবা। প্রতিবাদ করলে, তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। সোমবার রাতে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে মারা যান তিনি। গতকাল, মঙ্গলবারই ক্নিন্টন বাগ নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস। এদিন ধরা পড়ে আরও ২ অভিযুক্ত শান্তনু হাপর ও টিটন বাগ। ধৃতেদের বিরুদ্ধে খুন ও পকশো আইন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।