জেলা সভাপতি সহ ১৪ জনকে শো-কজ, বর্ধমানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে কড়া পদক্ষেপ বিজেপির

৭ দিনের মধ্যে শো-কজের জবাব দিতে নির্দেশ। সন্তোষজনক জবাব না হলে, অভিযুক্তদের দল থেকে তত্ক্ষণাত্ বহিষ্কার করা হতে পারে।

Updated By: Jan 24, 2021, 06:26 PM IST
জেলা সভাপতি সহ ১৪ জনকে শো-কজ, বর্ধমানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে কড়া পদক্ষেপ বিজেপির

নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্ধমান কাণ্ডে কড়া পদক্ষেপ বিজেপির (BJP)। শো-কজ (Show Cause) করা হল জেলার এক ঝাঁক নেতাকে। মোট ১৪ জনকে শো-কজ করলেন রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)  নির্দেশেই এই শো-কজ করা হয়েছে। 

শো-কজ (Show Cause) করা হয়েছে জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দীকেও। বৃহস্পতিবার বর্ধমানে বিজেপির (BJP) দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের জেরে ভাঙচুর চলে বর্ধমান শহরে নতুন উদ্বোধন হওয়া বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে। ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বেশ কিছু গাড়িতেও। সেই ঘটনায় এবার কড়া পদক্ষেপ করল রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। আজ দলের তরফে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে শো-কজ করার কথা জানান প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। 

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ, ২১ জানুয়ারি বর্ধমান জেলা দলীয় কার্যালয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি, সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন সদস্যরা। দলের কাছে এটা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। এই কাজ দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে, কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ৭ দিনের মধ্যে এই শো-কজ (Show Cause) নোটিসের জবাব দিতে। সন্তোষজনক জবাব না হলে, ভারতীয় জনতা পার্টির (BJP) সংবিধানের ২৫এ ও ২৫সি অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাজ্য নেতৃত্ব অভিযুক্তদের দল থেকে তত্ক্ষণাত্ বহিষ্কারের পথে হাঁটতে পারেও বলেও বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন, মোদীজি আপনি লজ্জা, ইন্টেলেকচুয়াল ক্রিমিনাল Malvya, ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে প্রতিশোধ নেওয়া হবে : Kalyan

অঘোষিত সেনসরশিপ চলছে, বাকস্বাধীনতা ভূলণ্ঠিত, দেশের শিল্প জগৎ সঙ্কটে : Bratya

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার আচমকাই বর্ধমানে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর সঙ্গে বিক্ষুদ্ধদের বচসা বাধে। দলীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিক্ষুদ্ধ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, পার্টি অফিসের ছাদ থেকে ইট, পাথর, আসবাবের টুকরো ছুঁড়ে মারা হয় বলেও অভিযোগ। বিক্ষুব্ধদের অভিযোগ, বিজেপিতে তাঁরা পুরনো কর্মী। দলের জন্য রক্ত দিয়েছেন। মার খেয়েছেন। কিন্তু যাঁদের সঙ্গে লড়াই করেছেন, তাঁদেরই এখন দলে নেওয়া হচ্ছে। পদ দেওয়া হচ্ছে। দলে চরম পর্যায়ে স্বেচ্ছাচারিতা চলছে। সবমিলিয়ে এঘটনায় প্রকাশ্যে চলে আসে পূর্ব বর্ধমানে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল।

আরও পড়ুন, ধর্মঘটের সিদ্ধান্তে অনড় বাসমালিকরা, মুখ্যসচিবের সঙ্গে নিস্ফলা বৈঠক

.