আসানসোলে প্রশাসনের ধূমপান নিয়ে নিষেধাজ্ঞার পর সচেতনতা বাড়লেও, বেনিয়ম চলছেই

দোকানদারের দাবি, স্কুলের পাশে যে বিড়ি-সিগারেটের কোনও দোকান যে থাকবে না, তা তাঁদের জানা নেই।

Updated By: Oct 20, 2019, 04:09 PM IST
আসানসোলে প্রশাসনের ধূমপান নিয়ে নিষেধাজ্ঞার পর সচেতনতা বাড়লেও, বেনিয়ম চলছেই

নিজস্ব প্রতিবেদন : আড়াই সপ্তাহ আগেই জেলা প্রশাসন পশ্চিম বর্ধমানকে ধূমপানমুক্ত জেলা বলে ঘোষণা করেছেন। আসানসোলে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখা গেল, রাস্তাঘাটে সাধারণ মানুষ আর সেভাবে ধূমপান করছেন না। কয়েকজন নির্দেশ না জেনে ধূমপান করলেও, তার সংখ্যাটা খুবই কম। হাতে গোনা। কিন্তু, অদ্ভূত ছবি দেখা গেল স্কুল-কলেজের সামনে।

স্কুল-কলেজের ১০০ গজের ভিতর যেখানে কোনও তামাকজাত সামগ্রী তথা সিগারেট- বিড়ির দোকান থাকারই কথা নয়, সেখানেই দেখা গেল উল্টো ছবি। অবাধে চলছে বিড়ি-সিগারেট বিক্রি। জেলা প্রশাসনের নির্দেশ শোনেননি? উত্তরে দোকানদারের বক্তব্য, এই ধরনের নির্দেশ বহুবার এসেছে।  স্কুল-কলেজের পোশাক পড়ে যদি কেউ তামাকজাত পণ্য কিনতে আসে, তাহলে তাদেরকে কোনও ধরনের তামাকজাত সামগ্রী দেওয়া হয় না। যাদের বয়স কম তাদেরকেও কোনও ধরনের তামাকজাত সামগ্রী বিক্রি করা হয় না।

পাশাপাশি দোকানদারের আরও দাবি, তবে স্কুলের পাশে এধরনের কোনও দোকান যে থাকবে না, তা তাঁদের জানা নেই। এ ধরনের কোনও নোটিস বা কোনওরকম কোনও ঘোষণা তাদের কানে আসেনি। তাই জেলা প্রশাসন যতই ঘোষণা করুক, বিভিন্ন স্কুল কলেজের পাশে রমরমিয়ে চলছে বিড়ি-সিগারেটের দোকান। চলছে দেদার বিড়ি-সিগারেট বিক্রি।

আরও পড়ুন, আড়াই মাসের সম্পর্কেই কি বান্ধবীর প্রাক্তন প্রেমিকের হাতে 'খুন' নিমতার যুবক? মৃত্যু ঘিরে একাধিক প্রশ্ন

এই প্রসঙ্গে স্থানীয়রা বলছেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা আরও বাড়াতে হবে। ধূমপানমুক্ত জেলার কথা জেলা প্রশাসন অনেক আগেই বলেছিল। সম্পূর্ণরূপে এই আইনকে বলবৎ করতে হলে প্রশাসনকে যেমন শিবির করতে হবে, তেমনই সাধারণ মানুষকেও এগিয়ে আসতে হবে। সাধারণ মানুষকেও প্রশাসনের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে এই নির্দেশকে বলবৎ করতে হবে।

.