ভাইয়ের সামনেই পরপর গুলি, মধ্যরাতে বরাকরে খুন তৃণমূল নেতা
খালিদকে দেখে বাইক থেকে নেমে আসে ২ জন। এরপর তারা প্রথমে খালিদের পায়ে গুলি করে। পরে তার গলায় রিভালবার ঠেকিয়ে গুলি চালানো হয়
নিজস্ব প্রতিবেদন: মধ্যরাতে নিজের বাড়ির সামনেই দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন তৃণমূল কাউন্সিলার। ভাইয়ের সামনেই গুলি তৃণমূল নেতাকে। তোলপাড় বরাকরের মনবেড়িয়া এলাকা।
আরও পড়ুন-শ্রীনগর থেকে ফেরত পাঠানো হল বিরোধীদের, স্বাভাবিক পরিস্থিতি নেই, মন্তব্য রাহুলের
শনিবার রাতে খাওয়াদাওয়ার পর বাড়ির বাইরে পাইচারি করছিলেন খালিদ। রাত তখন সাড়ে এগারোটা। সেসময় আসানসোল পৌরনিগমের ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার মহম্মদ খালিদ খানকে গুলি করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। গুলিবিদ্ধ খালিদকে নিয়ে যাওয়া হয় আসানসোল জেলা হাসপাতালে। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা।
ঘটনার খবর পেয়েই হাসপাতালে চলে আসেন আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি, বরো চেয়ারম্যান মহম্মদ গোলাম সাওয়ার-সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কুলটি থানার পুলিস।
রাজনৈতিক শত্রুতা নাকি ব্যক্তিগত কোনও সমস্যার জেরেই এতবড় ঘটনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। তবে পুরনো ব্যক্তিগত শত্রুতাকেই জোর দিচ্ছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন-মিড ডে মিলে মাথাপিছু ৪ টাকা ৪৮ পয়সায় না হলে কেন্দ্রকে কেন বলেনি রাজ্য: লকেট
এদিকে, নিহত কাউন্সিলার খালিদের ভাই আরমানের বক্তব্য থেকে ক্লু খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিস। আরমানের দাবি, তাঁর সামনেই দাদাকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। সে সময় একটি বাইকে বসেছিল তিন দুষ্কৃতী। খালিদকে দেখে বাইক থেকে নেমে আসে ২ জন। এরপর তারা প্রথমে খালিদের পায়ে গুলি করে। পরে তার গলায় রিভালবার ঠেকিয়ে গুলি চালানো হয়।
অন্যদিকে, আততায়ীরা খালিদদের পূর্ব পরিচিত বলে অনুমান করা হচ্ছে। এর আগে খালিদের বাবার ওপরে হামলা চালায় ওই দুষ্কৃতীরাই। ফলে ওই হামলার পেছনে কোনও পারিবারিক শত্রুতা রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।