Shankar Adhya: বাড়ির অদূরেই মাথায় গুলি করে 'খুন' কলেজছাত্র, শংকর ডাকুর ত্রাসে কাঁপে বিভূতিভূষণের শহর!

থানা অভিযোগ নেয় না। নিম্ন আদালতেও প্রভাব খাটায় ডাকু। মানুষের জমিজমা জোর করে নেওয়া ছাড়াও একাধিক খুনে নাম জড়ায় তার। 

Updated By: Jan 6, 2024, 06:32 PM IST
Shankar Adhya: বাড়ির অদূরেই মাথায় গুলি করে 'খুন' কলেজছাত্র, শংকর ডাকুর ত্রাসে কাঁপে বিভূতিভূষণের শহর!

কমলাক্ষ ভট্টাচার্য: বিভূতিভূষণ আর ইছামতীর শহরে ত্রাস হয়ে উঠেছিলেন শঙ্কর ওরফে ডাকু। বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস ছিল না কারও। ২০১৪ সালে বাড়ির অদুরেই খুন হয়ে যায় ২০ বছরের কলেজছাত্র হিমাংশু বৈরাগী। মাথায় গুলি করে নৃশংসভাবে খুন করা হয় কলেজপড়ুয়া হিমাংশু বৈরাগীকে। সেই খুনে সরাসরি নাম জড়ায় ডাকু ও তার দলবলের। কিন্তু থানা অভিযোগ নেয় না। নিম্ন আদালতেও প্রভাব খাটায় ডাকু। চলতে থাকে হুমকি। নিরাপত্তার দাবিতে হাইকোর্টে ছোটে পরিবার। ডাকু বাহিনীর হাত থেকে বাঁচাতে বাড়িতে ২৪ ঘণ্টার পুলিস পোস্টিংয়ের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। বাড়ি জুড়ে বসানো হয় সিসিটিভি। সন্তানের খুনের মামলায় ডাকু এখনও গ্রেফতার না হলেও, রেশন দুর্নীতিতে ইডির হাতে ডাকু গ্রেফতার হতেই ক্ষোভ উগরে দিলেন নিহত হিমাংশুর ঠাকুমা ও বাবা।

২০১০ থেকে ২০২১- এই  ১১ বছরে একসময়ের সামান্য চা বিক্রেতা ডাকু যেন ফুলেফেঁপে ওঠেন। তাঁর প্রতাপ টের পান বনগাঁবাসী। উন্নয়নের জোয়ার আসে বনগাঁয়। অভিযোগ, শাসকনেতা সেই উন্নয়ন করেন সাধারণ মানুষকে অত্যাচার ও হুমকি দিয়েই। ভোলবদলে যায় সীমান্ত শহর বনগাঁর। ক্ষমতা পেয়ে ভোল বদলে যায় ডাকু ও তার বাহিনীরও। মানুষের জমিজমা জোর করে নেওয়া ছাড়াও একাধিক খুনে নাম জড়ায় তার। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাত ধরেই একসময় রাজনীতির ময়দানে এসেছিলেন শংকর আঢ্য। ২০০৫ সালে প্রথমবার বনগাঁ পুরসভার কাউন্সিলর হন। পরে চেয়ারম্যানও হন। বালুর ছত্রছায়াতেই উল্কার গতিতে বনগাঁ শহরে উত্থান ঘটে শংকরের। জ্যোতিপ্রিয় লেখা চিঠিতে পাওয়া গিয়েছে শংকর আঢ্যর নাম। এমনকি ডাকুর মাধ্যমেই বালু কালো টাকা ডলারে বদলে তা বিদেশে পাচার করে বলে অভিযোগ।

বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান হওয়ার পাশাপাশি তৃণমূলের একাধিক সংগঠনেরও মাথায় ছিলেন শংকর। তাঁর স্ত্রী জ্যোৎস্না আঢ্যও বনগাঁ পুরসভার চেয়ারপার্সন ছিলেন। বর্তমানে তিনি পুরসভার ভাইস চেয়ারপার্সন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বনগাঁ থেকেই প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন শংকর। কিন্তু দল তাঁকে প্রার্থী না করায়, ভোটের প্রচার থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন শংকর। যে কারণে গোষ্ঠীকোন্দলে দীর্ণ বনগাঁয় রাজ্যজুড়ে প্রবল তৃণমূল হাওয়াতেও সবকটি আসনে হারতে হয় দলকে। এরপরই দলের ভিতরে কোণঠাসা হয়ে পড়েন শংকর। দলের সব পদ থেকেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। রেশন দুর্নীতির তদন্তে গতকাল সকালে শংকর আঢ্যর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। শেষে গভীর রাতে শংকর আঢ্যকে গ্রেফতার করে ইডি। 

আরও পড়ুন, Ram Mandir: অযোধ্যায় রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার আগেই মালদায় ভক্তিভরে পূজিত রামের পাদুকা চরণ!

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.