পঞ্চায়েত মামলা: তৃণমূলের 'সুপ্রিম' স্বস্তি, জোর ধাক্কা বিরোধীদের
রাজ্যে ২০ হাজার আসনের ক্ষেত্রে অবিলম্বে জয়ের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। নির্দেশ শীর্ষ আদালতের।
নিজস্ব প্রতিবেদন : পঞ্চায়েত মামলায় ধাক্কা বিরোধীদের। নতুন করে কোনও আসনেই ভোট হচ্ছে না। রায় ঘোষণা করে জানাল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি চন্দ্রচূড় ও খানউইলকরের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন রায় ঘোষণা করে।
পাশাপাশি, রায়ে আরও বলা হয়েছে, রাজ্যে ২০ হাজার আসনের ক্ষেত্রে অবিলম্বে জয়ের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে বিরোধীরা চাইলে অভিযোগ দাখিল করতে পারবেন। পঞ্চায়েত নির্বাচন আইনের ৭৯ ধারায় অভিযোগ দাখিল করা যাবে। গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষেত্রে দেওয়ানি আদালতে আবেদন করতে হবে। আর জেলা পরিষদের ক্ষেত্রে আবেদন করতে হবে জেলা আদালতে। একইসঙ্গে, সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে এদিন খারিজ করে দেওয়া হল কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ। হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমেল মনোনয়নকে স্বীকৃতি দিয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু এদিন সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্পষ্ট বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত আইনে এরকম কোনও সংস্থান নেই।
আরও পড়ুন, বড়দের ‘ডিজিটাল রাজনীতির’ পাঠ পড়াবেন অভিষেক
উল্লেখ্য, আদালতে বিরোধীদের মূল অভিযোগ ছিল রাজ্যে ২০ হাজার আসনে মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি বিরোধী প্রার্থীরা। ফলে ৩৪ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন শসকদলের প্রার্থীরা। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, বিরোধীদের এই অভিযোগ বস্তুত 'মাঠে-ময়দানে' লডা়ইয়ের অভিযোগ। এর কোনও প্রামাণ্য নথি বিরোধীরা দিতে পারেনি। উল্টোদিকে, বিরোধীদের অভিযোগে মিথ্যা বলে দাবি করে রাজ্য সরকারের তরফে প্রয়োজনীয় নথি শীর্ষ আদালতে জমা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন, খোয়া গিয়েছে দেড় বিঘা জমি-ভিটে-মাটি, তবুও রোদ্দুর হতে চায় বিরল রোগে আক্রান্ত ভুবন
উল্লেখ্য, ১০ মে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রক্রিয়ায় তারা হস্তক্ষেপ করবে না। সেইমতো ১৪ মে ভোট হয়। ১৭ মে ফল বেরোয়। কিন্তু শীর্ষ আদালতের ১০ মে-র নির্দেশ অনুযায়ী, বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় ২০ হাজার আসনে জয়ী তৃণমূল প্রার্থীদের ক্ষেত্রে গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা যায়নি। প্রাথমিকভাবে ৩ জুলাই পর্যন্ত জয়ের গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। পরে তার মেয়াদ বাড়ে। ফলে ভোটের ৩ মাস পরেও গঠন করা যায়নি বোর্ড। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চে চলতি মাসেও শুনানি চলে। সোমবার ২০ অগাস্ট শুনানি শেষ হয়। তবে সেদিন রায় ঘোষণা করা হয়নি। রায়দান স্থগিত রাখা হয়। শুক্রবার রায় ঘোষণা করার কথা জানায় শীর্ষ আদালত। আরও পড়ুন, আদালত ওদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছে : সুব্রত