সন্দেশখালির ধর্ষিতা বৃদ্ধার মৃত্যু
ওয়েব ডেস্ক: নির্ভয়াকাণ্ডের ছায়া সন্দেশখালিতে। গণধর্ষণের শিকার ৬১ বছরের বৃদ্ধা। এখানেই শেষ নয়। ধর্ষণের পর যৌনাঙ্গে লোহার রড, গাছের গুঁড়ি, ভাঙা বোতল ঢুকিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। তারপর কাঁটাঝোপ চাপা দিয়ে নির্যাতিতাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। অমানবিক ঘটনার সাক্ষী সন্দেশখালি।
গত ৪ জুলাই বাড়িতে একাই ছিলেন ওই প্রৌঢ়া। খেয়ে উঠে বাইরে মুখ ধুতে যান তিনি। সেসময়ই পিছন থেকে তাঁর মুখ চেপে ধরে কয়েকজন। কিছুটা দূরের ঝোপে টেনে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে গণধর্ষণ করা হয়। নির্যাতিতা মারা গেছেন ভেবে দুষ্কৃতীরা তাঁকে কাঁটা ঝোপ চাপা দিয়ে চলে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করেন গ্রামের মানুষ। ভর্তি করা হয় ন্যাশনাল মেডিক্যালে। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে সেই দুঃসহ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে যান নির্যাতিতা। চব্বিশ ঘণ্টার হাতে আসে সেই অডিও।
তারপর থেকে ICU-তে চলছিল বাঁচার লড়াই। ২২দিন পর থেমে যায় জীবনযুদ্ধ। মৃত্যুর আগে রাজেশ্বর মাইতি নামে একজনকে চিনতে পারেন নির্যাতিতা। ৮ জুলাই তাকে গ্রেফতার করে পুলিস। ৬দিনের পুলিস হেফাজতে পাঠান বিচারক। ফের ১৪ জুলাই ফের শুনানি হয়। আপাতত রাজেশ্বরের ঠিকানা বসিরহাট জেল।