কাল উত্তরকন্যা ঘেরাও অভিযান, পুলিশ দিয়ে কর্মসূচি বানচালের ছক তৃণমূলের: যুব মোর্চা

উত্তরবঙ্গের ৯টি জেলাকে আটটি জোনে ভাগ করা হয়েছে।

Updated By: Dec 6, 2020, 06:50 PM IST
কাল উত্তরকন্যা ঘেরাও অভিযান, পুলিশ দিয়ে কর্মসূচি বানচালের ছক তৃণমূলের: যুব মোর্চা

নিজস্ব প্রতিবেদন:  নবান্ন অভিযানের পুনরাবৃত্তি হবে না তো? আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার শিলিগুড়ির উত্তরকন্যা ঘেরাও কর্মসূচি সফল করতে কোমর বেঁধে নেমেছে বিজেপির যুবমোর্চা। জোরকদমে চলছে শেষবেলার প্রস্তুতি। পোস্টার-ব্যানারে ছয়লাপ জলপাইগুড়ি শহর। মোর্চার নেতৃত্বের দাবি, উত্তরবঙ্গে ৮টি জেলা থেকে এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন লক্ষাধিক কর্মী-সমর্থকরা। এই অভিযানকে বানচাল করার ক্ষমতা নেই তৃণমূলের, তাই পুলিস-প্রশাসনকে ব্যবহার করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: 'আমার কাছেও BJP-তে যাওয়ার অনেক অফার, তৃণমূলের ক্ষতি করছে TMC-র লোকেরাই', বিস্ফোরক উদয়ন (Udayan)

কলকাতায় নবান্ন অভিযানের কায়দায় এবার শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যা ঘেরাও অভিযানের পরিকল্পনা করেছে বিজেপি-র যুব মোর্চা। এই কর্মসূচিকে সফল করতে সাতদিন ধরে উত্তরবঙ্গে রয়েছেন খোদ যুবমোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমত্র খাঁ। জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ি-সহ বিভিন্ন এলাকায় কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন তিনি। সেই কর্মসূচিতে যেমন ভালো সাড়া মিলেছে, তেমনি আবার বাইক মিছিল আটকে যুব মোর্চার কর্মীদের আটকও করেছে পুলিশ। তাতে অবশ্য বিজেপি নেতৃত্ব দমে যায়নি এতটুকু। বরং তাদের দাবি, উত্তরকন্যা ঘেরাও অভিযানের প্রস্তুতি দেখে ভয় পেয়েছে তৃণমূল।

বিজেপি সূত্রে খবর, এই নবান্ন ঘেরাও কর্মসূচির উপলক্ষ্য়ে উত্তরবঙ্গের ৯টি জেলাকে আটটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। একটি জোনে থাকছে মালদহ থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত ৫টি জেলা, এই জোন কর্মী-সমর্থকরা গাড়িতে করে এসে জমায়েত করবেন শিলিগুড়িতে। আর অপর জোনটি হল জলপাইগুড়ি। এই জোনের অন্তর্গত কোচবিহার থেকে জলপাইগুড়ি পর্যন্ত তিনটি জেলা থেকে কর্মী-সমর্থকরা শহরে আলাদাভাবে জমায়েত করবেন। দু'দিক থেকে মিছিল এসে পৌঁছবে উত্তরকন্যায়। 

বিজেপির যুবমোর্চার জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি পলেন ঘোষ বলেন, 'জলপাইগুড়ি থেকে উত্তরকন্যাগামী রাস্তাগুলিতে নাকা তল্লাশির নামে ইতিমধ্যেই ব্যারিকেড করে দিয়েছে পুলিশ। আমরা আশঙ্কা করছি, নবান্ন ঘেরাও অভিযানের মতোই এখানেও পুলিশ আমাদের আটকানোর চেষ্টা করবে। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হবে না। আগামীকাল উত্তরকন্যায় গিয়ে বিজেপি পতাকা লাগিয়ে দিয়ে আসব।' তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, 'পরীক্ষার্থীরা যদি পরীক্ষার হলে ঢুকে বলে, চেয়ার, টেবিল খারাপ, তাহলে বুঝতে হবে তারা পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতিই নেয়নি। আসলে এখন বিজেপি এসব বলছে, কারণ, আগামীকাল তাদের কর্মসূচিতে লোকই হবে না।'

আরও পড়ুন: মেদিনীপুর ছয়লাপ মুখ্যমন্ত্রীর পোস্টারে, সভায় অধিকারী পরিবারের না থাকার সম্ভাবনা

উল্লেখ্য, পুজোর আগে নবান্ন অভিযান ডাক দিয়েছিল বিজেপির যুবমোর্চা। সেই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা-ইটবৃষ্টি-লাঠিচার্জ-বিক্ষোভ, বাদ যায়নি কিছুই। রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল সাঁতরাগাছি, হাওড়া ময়দান, হাওড়া ব্রিজ ও হেস্টিংস চত্বর। হাওড়া ময়দান আবার মিছিলের পিছনে ধাওয়া করে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ বলবিন্দার সিং নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তা নিয়েও জলঘোলা কম হয়নি।

.