আয়োজনের দায় নিতে নারাজ বিশ্বভারতী, বন্ধের মুখে শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা

বিশ্বভারতীর এহেন সিদ্ধান্তে প্রশ্নের মুখে শতাব্দীপ্রাচীন পৌষ মেলার ভবিষ্যত্। বিশ্বভারতী আয়োজন না করলে পৌষ মেলার আয়োজন প্রায় অসম্ভব। 

Updated By: Jun 5, 2019, 01:09 PM IST
আয়োজনের দায় নিতে নারাজ বিশ্বভারতী, বন্ধের মুখে শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা

নিজস্ব প্রতিবেদন: দূষণ নিয়ে দড়িটানাটানি চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। ছিল আরও নানা নালিশ। শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্য পৌষ মেলা আয়োজনে প্রতি বছর নাভিশ্বাস উঠছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের। অবশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, এবার আর পৌষ মেলার আয়োজন করবে না তারা। ফলে চলতি বছর থেকে কার্যত বন্ধ হতে চলেছে পৌষ মেলা।

 

গতকালই পৌষ মেলা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বৈঠকে উপাচার্য বিদ্যুত্ চক্রবর্তী ছাড়াও ছিলেন বিশ্বভারতীর সমস্ত আধিকারিক ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সদস্যরা। সেখানে সর্বসম্মতিতে পৌষ মেলা আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত হয়। বুধবার সকালে প্রকাশ্যে আসে সেই সিদ্ধান্ত। 

বিশ্বভারতীর এহেন সিদ্ধান্তে প্রশ্নের মুখে শতাব্দীপ্রাচীন পৌষ মেলার ভবিষ্যত্। বিশ্বভারতী আয়োজন না করলে পৌষ মেলার আয়োজন প্রায় অসম্ভব। 

শান্তিনিকেতন আশ্রমের প্রতিষ্ঠা দিবস ৭ পৌষ প্রতি বছর পৌষ মেলার আয়োজন করে বিশ্বভারতী। আগে পৌষ মেলায় নানা পণ্য নিয়ে সামিল হতেন স্থানীয় গ্রামগুলির বাসিন্দারা। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে মেলা। যার ফলে দূষণ ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ। প্রতি বছর যে জন্য আদালতকে জবাবদিহি করতে হচ্ছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে। 

ইভিএমে কারচুপি হয়েছে, রেড রোডে ইদের নমাজ শেষে বললেন মমতা

পৌষ মেলা না হলেও খ্রীষ্ট উত্সব থেকে শুরু করে ৭ পৌষের যাবতীয় রীতি পালিত হবে বলে জানিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।

ওদিকে বিশ্বভারতীর ঘোষণায় ক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রী থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় ব্যবসার একটা বড় অংশ নির্ভর করে পৌষ মেলার ওপর। মেলা বন্ধ হলে তাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।          

.