'এই বিধায়ক আর নয়', Jitendra Tewari-র বিরুদ্ধে এবার পোস্টার পাণ্ডবেশ্বরে
নেপথ্যে কি তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব?
নিজস্ব প্রতিবেদন: ঘর ওয়াপসির পরেও জায়গা পাননি দলের জেলা কমিটিতে। তৃণমূলের (TMC) হয়ে যখন ফের স্বমহিমায় ময়দানে নামার চেষ্টা করছেন বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tewari), তখনই ফের ছন্দপতন! 'এই বিধায়ক আর নয়', 'কয়লাচোর বিধায়ককে মানছি না, মানব না'- এমনই সব পোস্টারে চাঞ্চল্য ছড়াল পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরে। যে বা যাঁরা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে দলের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া ও প্রশাসনের দ্বারস্থ হওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নিজে অবশ্য এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি।
ভোটের মুখে 'বেসুরো' হতে গিয়েই কি বিপাকে পড়লেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tewari)? কেন্দ্রে স্মার্টসিটি প্রকল্পে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে আসানসোলের পুর প্রশাসক, এমনকী তৃণমূলের (TMC) পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতির পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, দল যদি নির্দেশ দেয়, তাহলে বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দিতেও আপত্তি নেই! কিন্তু ঘটনা হল, দলের সঙ্গে সমস্যা মিটতেও বেশি সময় লাগেনি। কলকাতায় মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের (Arup Biswas) সঙ্গে বৈঠকের পর জিতেন্দ্র জানান, 'আমার আচরণে দুঃখ পেয়েছেন দিদি। দিদিকে দুঃখ দিয়ে পৃথিবীতে বাঁচতে পারব না। দলেই আছি।' বস্তুত, দলীয় নেতৃত্বকে ইস্তফাপত্র গ্রহণ না করারও অনুরোধ করেন তিনি। এরপরও অবশ্য তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটি থেকে বাদ পড়েন জিতেন্দ্র। দীর্ঘদিন একপ্রকার কোণঠাসা অবস্থায় ছিলেন ঘাসফুল শিবিরে।
আরও পড়ুন: 'আর নয় অন্যায়'-এ দলের মহিলা কর্মীদের 'শ্লীলতাহানি' বিজেপি নেতাদের!
দিন কয়েক আগে ফের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে একই মঞ্চে দেখা যায় জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে (Jitendra Tewari)। আগের মতো তৃণমূল ভবনেও আবার যাতায়াত শুরু করেছেন তিনি। এসবের মাঝেই নাম না করে বিধায়কের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল পাণ্ডবেশ্বরে। পোস্টারে পোস্টারে ছয়লাপ গোটা এলাকা। রাতের অন্ধকারেই কেউ বা কারা এই পোস্টার লাগিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, 'বেসুরো' হওয়ার পর থেকে পাণ্ডবেশ্বরে জিতেন্দ্র তিওয়ারির (Jitendra Tewari) বিরুদ্ধাচরণ করছেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদেরই একাংশ। দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। যদিও সে সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অপূর্ব মুখোপাধ্যায়।