কোলাঘাটে ছাত্রীর গণধর্ষণকাণ্ডে ধৃত প্রেমিক-সহ ৫ কিশোর
ধৃতরা প্রত্যেকেই একই গ্রামের বাসিন্দা। এরমধ্যে শুভমের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল নির্যাতিতার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কোলাঘাটে কিশোরীকে গণধর্ষণকাণ্ডে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীদের গ্রেফতার করল পুলিস। এই ঘটনায় নির্যাতিতার প্রেমিক-সহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার রাতেই কাঁচরোল গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের নাম শুভম তুঙ্গ, বিশ্বজিত্ পাত্র, সমীর মণ্ডল, সমীর দোলুই, সৌরভ দোলুই। ধৃতরা প্রত্যেকেই একই গ্রামের বাসিন্দা। এরমধ্যে শুভমের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল নির্যাতিতার।
জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধেয় কোলাঘাটের বাগডিহা গ্রামে মাঠের ধারে প্রেমিকের সঙ্গে বসেছিল ওই দশম শ্রেণির ছাত্রী। তখনই প্রেমিককে গাছে বেঁধে ওই নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে চার দুষ্কৃতী। এরপর বাড়ি ফিরে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই নাবালিকা। কিশোরীকে ভর্তি করা হয় স্থানীয় নার্সিংহোমে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পাঁশকুড়াচাপদা গ্রামের শুভম তুঙ্গের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল যোগীবেড় গ্রামের দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীর। বছর তিনেক ধরে তাঁদের ঘনিষ্ঠতা। মাস ছয়েক আগে শুভমকে বহিষ্কার করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। দুই পরিবারও বিষয়টি জানত। গত শনিবার সন্ধেয় টিউশনি যাওয়ার নাম করে বাড়িতে থেকে বেরিয়েছিল ওই নাবালিকা।
চমকানোর বিরুদ্ধে যাঁরা লড়াই করে এসেছে তাদের চমকানো যায় না, নাম না করে দিলীপকে পালটা মমতার
গণধর্ষণের পর শুভমই অসুস্থ ছাত্রীটিকে বাড়ির কিছুটা দূরে ছেড়ে চলে যায়। পরিবারকে ঘটনাটা জানায় নাবালিকা। রাতে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সে। গভীর রাতে মেছেদার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় তাকে। অভিযোগ, ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর টাকা পয়সা দিয়ে মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে শুভমের বাড়ির লোকজন। ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, শুভমই ষড়যন্ত্র করেছে। ওর বন্ধুদের দিয়ে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে। কারণ, শুভম পড়াশুনো ছেড়ে দিয়েছে। তাদের মেলামেশায় আপত্তি ছিল নাবালিকার পরিবারের।