'ভাদু শেখের লোকজনই সেদিন আগুন দিয়েছিল', চাঞ্চল্যকর অভিযোগ মৃত নাজমার স্বামীর
রবিবারের পর সোমবারও আনারুল-সহ অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই
নিজস্ব প্রতিবেদন: রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত্যু হল নাজমা বিবি নামে আরও এক মহিলার। এনিয়ে ওই ঘটনায় মৃতের সংখ্য়া বেড়ে হল ৯। দেহের ৬৫ শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল নাজমার।
এদিকে, স্ত্রীর মৃত্যুর পর চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন নাজমার স্বামী শেখরাল শেখ। তাঁর দাবি, সেদিন ভাদু শেখের লোকজনই আগুন লাগায় বাড়িতে। এলাকার ক্রিমিন্যাল ছিল ভাদু শেখ। তোলাবাজি করে বেড়াত। তোলাবাজির টাকা যেত তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেনের কাছে। অবৈধ কয়লা পাচার, বালি বিক্রি ও এলাকায় গাড়ি-সহ বিভিন্নভাবে তোলা তুলত বড়শুলের উপপ্রধান ভাদু শেখ। তার সঙ্গে কাজ করত ৪০ জনেরও বেশি ছেলেপুলে। ওই তোলাবাজির টাকা যেত পুলিস, এমনকি অনুব্রত মণ্ডলের কাছেও। শেখরাল শেখের আরও দাবি, গ্রামে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার পরও পার্টির চাপে পুলিস গ্রামে ঢোকেনি।
রবিবারের পর সোমবারও আনারুল-সহ অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। এরকম এক অবস্থায় মৃত নাজমা বিবির স্বামীর এই অভিযোগ যথেষ্ঠই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। সিটের তরফে প্রথম থেকেই আনারুলের দিকে আঙুল তোলা হয়। রামপুরহাট থানা থেকে বগটুইয়ের দূরত্ব মাত্র ১০ মিনিট। পুলিস আসেনি বলেই এতগুলো লোকের প্রাণ গেল।
উল্লেখ্য, বগটুইটের ঘটনায় গতকাল অভিযুক্তদের দফায় দফায় জেরা করছে সিবিআই। আজ ফের রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে আনা হল মিহিলাল সেখ, আনারুল হোসেন-সহ ৭ অভিযুক্তকে। একইসঙ্গে আজই সিবিআই তলব করেছে রামপুরহাট থানার আইসি ও এসডিপিও-কে। এদের সবাইকে একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করতে চায় সিবিআই।
অভিযুক্ত আনারুল বারবারই দাবি করছে ঘটনায় সঙ্গে সে জড়িত নয়। ঘটনার সময় সে বগটুইয়ের বাইরে ছিল। সেই কথা কতটা সত্যি তা খতিয়ে দেখতে চায় সিবিআই।
আরও পড়ুন-'আমার থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে CPIM রাস্তায় শুয়েছে', বনধকে দেবাংশুর কটাক্ষ; শতরূপের পাল্টা