অতীত ভুলে এগোতে চাই, চামলিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর স্পষ্ট করলেন মমতা
উত্তরকন্যায় সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা। দুই রাজ্যকে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দার্জিলিং নিয়ে কাজিয়া অতীত। উত্তরকন্যায় সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে বুঝিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ''আমরা অতীত ভুলে এগোতে চাই। দুই রাজ্য পরস্পরকে সহযোগিতা করবে।''
দার্জিলিং নিয়ে সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে তৈরি হয়েছিল মতানৈক্য। দার্জিলিংকে আলাদা রাজ্য গঠনের দাবিতে পাহাড়কে অশান্ত করেছিল গুরুংবাহিনী। সেইসময় গুরুংদের সমর্থন করেছিলেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিং। এমনকি তাঁদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল চামলিং সরকারের বিরুদ্ধে। তবে তিস্তা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। দীর্ঘ কয়েকমাস ধরে বেপাত্তা বিমল গুরুং। শান্তি ফিরেছে পাহাড়ে। এই প্রেক্ষাপটে সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিংয়ের সঙ্গে উত্তরকন্যায় বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গুরুং থেকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক -নানা বিষয়ে কথা হয়েছে বৈঠকে।
আরও পড়ুন- গোটা দেশের চেয়েও পশ্চিমবঙ্গে অধিক হারে বাড়ছে আরএসএস
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়,''আমরা অতীত ভুলে এগোতে চাই। ভুল বোঝাবুঝি মিটে গিয়েছে। একসঙ্গে কাজ করতে চাই। দুই রাজ্য একে অপরকে সাহযোগিতা করবে। ছোট ছোট সমস্যা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে মিটিয়ে নেব।'' দু'তরফে গাড়ি চলাচল নিয়েও কোনও সমস্যা হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিকিমে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন চামলিং। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ''আমি পাহাড় ভালবাসি। সিকিমকে ভালবাসি। নিশ্চয়ই যাব সেখানে। আপনাকেও আসতে হবে কলকাতায়।''
আরও পড়ুন- পঞ্চায়েতের আগে বেকার যুবকদের ই-রিকশা দেবে রাজ্য সরকার