বিডিও অফিসের সঙ্গে এসডিও অফিসেও জমা দেওয়া যাবে পঞ্চায়েতের মনোনয়ন, জানাল কমিশন
গত ২ এপ্রিল সোমবার থেকে শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব। আর শুরু থেকেই রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাসের অভিযোগে শাসককে বিঁধছে বিরোধীরা। বাম-বিজেপি একযোগে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে তৃণমূলকে। তাদের দাবি, মনোনয়ন পত্র তুলতে ও জমা দিতে বাধা দেওয়ার জন্য বিডিও অফিসগুলির সামনে গুন্ডাবাহিনী মোতায়েন করেছে তৃণমূল।
ওয়েব ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিডিও অফিসে মনোনয়ন পেশ করা না-গেলে মনোয়ন পেশ করা যাবে মহকুমাশাসকের করণে। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
গত ২ এপ্রিল সোমবার থেকে শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব। আর শুরু থেকেই রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাসের অভিযোগে শাসককে বিঁধছে বিরোধীরা। বাম-বিজেপি একযোগে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে তৃণমূলকে। তাদের দাবি, মনোনয়ন পত্র তুলতে ও জমা দিতে বাধা দেওয়ার জন্য বিডিও অফিসগুলির সামনে গুন্ডাবাহিনী মোতায়েন করেছে তৃণমূল। তারাই বিরোধী প্রার্থীদের মারধর করছে। ইতিমধ্যে পঞ্চায়েতের মনোনয়ন পেশ নিয়ে সংঘর্ষে বাঁকুড়ায় মৃত্যু হয়েছে বিজেপি কর্মীর।
পঞ্চায়েত ভোটে শাসককে চাপে ফেলতে ময়দানে বিজেপি
বিরোধীদের আরও অভিযোগ, শুধু দলীয় গুন্ডা না। পঞ্চায়েতে মনোনয়ন পেশ থেকে বিরোধীদের রুখতে পুলিসকেও ব্যবহার করছে তারা। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, তৃণমূলের গুন্ডাদের প্রতিহত করা গেলেও প্রতিহত করা যাচ্ছে না পুলিসকে। পুলিস কার্যত দলীয় ক্যাডারের মতো কাজ করছে বলে দাবি করেন তিনি।
এই নিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে বিজেপি। এর পরই রাজ্যের মুখ্যসচিব ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে তলব করে নির্দেশ দেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি।
এদিনের নির্দেশিকায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, মনোনয়ন পেশের জন্য বিডিও অফিস নিরাপদ বলে মনে না-হলে মহকুমাশাসকের দফতরে জমা দেওয়া যাবে মনোনয়নপত্র। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, মহকুমাশাসকের দফতরের নিরাপত্তায়ও থাকবে সেই রাজ্য পুলিসই। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ বিরোধীদের।